সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারে বাড়ছে যৌন নির্যাতন


অনলাইনের মাধ্যমে বাড়ছে পাচারচক্র। জেনেবুঝে কিংবা নিজের অজান্তেই বিপদের হাতছানি ডেকে আনছে শিশু থেকে কিশোর–কিশোরীরা। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের প্রবণতা যত বাড়ছে তত কিশোরী পাচার, যৌন হেনস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে আরও  সচেতন হওয়া জরুরি। সে কারণে ১৪–১৫ ডিসেম্বর বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ এবং ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন (‌আইজেএম)‌। বুধবার শিশু সুরক্ষা আয়োগের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করা হয়। আয়োগের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, '‌অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়ার হাতে এখন স্মার্টফোন। কেউ নিজের ছবি কোথাও আপলোড করছে, কেউ না–‌বুঝেই ফাঁদে পা দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন পাচারচক্রের কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে শৈশব। অনলাইনে বাড়ছে যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনা। চক্রে জড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রকাশ্যে বলতে লজ্জা বা ভয় পায়। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমাধানের রাস্তা খোঁজা।'‌ আইজেএম কলকাতার ডিরেক্টর অফ অপারেশনস সাজি ফিলিপ বলেন, '‌অনলাইনে পাচার, যৌন নির্যাতন পৃথিবীর কোথায় কীভাবে পৌঁছছে, কীভাবে এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা যায়, কী ধরনের আইন দরকার, সেগুলি আলোচনা করে সমাধান সূত্র খোঁজা হবে।'‌ আইজি (‌‌সিআইডি)‌‌ অজয় রানাডে বলেন, 'সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা বলবেন কীভাবে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। কীভাবে সচেতন হতে হবে। তবে সমস্ত দেশের সহযোগিতা জরুরি।'‌ তাঁদের দাবি কলকাতায় এ ধরনের সম্মেলন প্রথম হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে ৮ জন সেলিব্রিটির পাশে পাচারচক্র থেকে উদ্ধার হওয়া ৮ জন কিশোরীও র‌্যাম্পে হাঁটবে বলে জানিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল।

জার্মানি, কানাডা, কেনিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা–‌সহ ১৫টি দেশের সরকারি প্রতিনিধি, ৮টি দেশের পুলিসের ‌সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ‌,  ১৮টি দেশের শিশু সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন, বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস, মহিলা কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া, অধ্যক্ষ ও ফেসবুক, পিডব্লুউসি–র প্রতিনিধিরা থাকবেন।