দুর্ঘটনার পর ৪৮ ঘন্টা পার! খনিতে আটক শ্রমিকদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান জারি


মেঘালয়ের অবৈধ কয়লা খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযানে জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার ৩২০ ফুট গভীর অবৈধ 'রাত হলে' খনিতে আটকে পড়ে ১৩ জন শ্রমিক। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স, রাজ্যের ডিজাস্টার রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্সের কর্মী-সহ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন প্রায় ১০০ জন।

উদ্ধারকারী দলের তরফে কয়লা খনি থেকে জল পাম্প করে বের করার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার এই খনিতে জল ঢুকে যায়। খনিতে প্রায় ৭০ ফুটের মতো জয় দাঁড়িয়ে যায় বলে  স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

এনডিআরএফ-এর উদ্ধারকারী এবং ডুবুরিরা খনির মধ্যে ঢুকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু খনির ভিতরে আলো না থাকা, কাদা জল উদ্ধারকারীদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খনির মধ্যের কোনও মানচিত্র না থাকাটাও উদ্ধারকারী দলের কাছে চড়া চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর পুরনো এই খনিটিতে অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে সপ্তাহখানের আগে। খনিগুলির নাম 'রাত হলে', কেননা স্থানীয়রা এই খনি খনন করে থাকেন। খুব সরু জায়গার মধ্যে দিয়ে শ্রমিক থেকে শুরু করে কয়লা ওঠানোর কাজ হয়ে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ কয়লাখনির কথা স্বীকার হয়ে নিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। পুলিশ এবং এনডিআরএফ উদ্ধার কাজে সাহায্য করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

খনির মালিক এবং যাঁরা নিখোঁজ তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

খনিতে আটকে পড়া তিন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন মেঘালয়ের লুমথারির বাসিন্দা। বাকি দশজন ওয়েস্ট গারো হিল এবং পার্শ্ববর্তী অসমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

পরিবেশবিদদের আপত্তির কারণে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল ২০১৪-র পর থেকে মেঘালয়ে খননের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

২০১২ সালে মেঘালয়ে খনি জলমগ্ন হওয়ার কারণে কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।