অবৈধ সম্পর্ক ঢাকতে স্বামীকে খুন, ধৃত স্ত্রী


অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চাপা দিতেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামী কমল বৈদ্যকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সুমিত্রা। খুনের পর গভীর রাতে সুমিত্রার সঙ্গে প্রেমিক মিঠুনের মোবাইল ফোনে ১৩ মিনিটের বেশি কথা হয়েছে। অপারেশন সফল বলে জানিয়েছিল প্রেমিক। তা শোনার পর হেসেছিল সুমিত্রা। এরপর বেশি রাতে মিঠুন একটি মোবাইল দিতে সুমিত্রার বাড়িতেও এসেছিল। তা দেখে ফেলেছিল কমলের শিশুকন্যা। ১৫ ডিসেম্বর সোনারপুরের ধামাইতলার কাছে কমল বৈদ্যকে গলার নলি কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। সুমিত্রা বৈদ্য থানায় এ নিয়ে খুনের অভিযোগ করে। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরার পর জানা যায়, কমলকে খুনের পরিকল্পনা তার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছে। এরপর রাতে সুমিত্রাকে ধরা হয়। উভয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পর স্বামীকে খুনের যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে সুমিত্রা।

সোনারপুর থানার আইসি পরেশ রায় জানান, কমল বৈদ্য খুনের পর লিটন রায় নামে একজনকে আটক করা হয়েছিল। তাকে জেরা করে অনুপমের নাম পাওয়া যায়। জানা যায়, রাতে অনুপমের সঙ্গে সাইকেল নিয়ে কমলকে যেতে দেখা গিয়েছে। দু'দিন বাদে অনুপমকে ধরা হয়। সে জেরায় জানায়, মিঠুন খুন করেছে। এরপর মিঠুনকে ধরার জন্য পুলিস চুঁচুড়া যায়। কিন্তু সেখান থেকে সে পালায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারপুরে আসে মিঠুন। সেই সময় তাকে ধরা হয়। পুলিসের জেরায় মিঠুন স্বীকার করে যে, কমলের সঙ্গে যৌথভাবে সে ব্যবসা করছিল। সেই সূত্রে সুমিত্রার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। নবমীর দিন রাতে কমল বাড়িতে ছিলেন না, সেই সুযোগে সে সুমিত্রার ঘরে গিয়েছিল। দেখে ফেলায় কমলের দাদা তাকে মারধর করে। পরে কমলও তাকে ও স্ত্রীকে মারধর করেন। এরপরই কমলকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসে। সুমিত্রাকে সে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। এ নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে কথাও হয়। পুলিস জানিয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর রাতে তিন দফায় কমলকে মদ খাইয়ে বেঁহুশ করে একটি মোটরবাইকে করে ধামাইতলা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মিঠুন ছুরি দিয়ে কমলের গলার নলি কেটে দেয়। তাকে সাহায্য করে অনুপম।