২১০ জনকে সাক্ষীর মধ্যে ৯২ জনই বয়ান বদলে ফেলেছিল


মোট ২১০ জনকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করেছিল সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ৯২ জনই পরে বয়ান বদলে ফেলেন। এই দলে থাকা তিন জন প্রধান সাক্ষী বয়ান বদলানোর পরেই সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিত শাহের বেকসুর খালাস পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। আজ মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এস জে শর্মা মন্তব্য করেন, ''তিন প্রধান সাক্ষী বয়ান বদলে ফেলেছেন। সরকারি আইনজীবীরা অভিযোগ প্রমাণ করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাক্ষীরা কথা না-বললে তাঁরা কী করবেন!''

সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযোগ ছিল, গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস-দমন বাহিনী ও রাজস্থান পুলিশের একটি দল ২০০৫-এর ২২ নভেম্বর রাতে হায়দরাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের সাংলিগামী বাস থেকে সোহরাবুদ্দিন, তাঁর স্ত্রী কওসর বাঈ ও বন্ধু তুলসীরাম প্রজাপতিকে অপহরণ করে। গাঁধীনগরের একটি বাগানবাড়িতে আটকে রাখা হয় তাঁদের। তার পর একে একে সোহরাবুদ্দিন ও তুলসীরামকে 'ভুয়ো এনকাউন্টারে' খুন করা হয়। কওসরকে খুনের আগে ধর্ষণও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। 

মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ থেকে ২০০৬-এর মধ্যে ২২টি 'ভুয়ো সংঘর্ষ' মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত-রিপোর্ট সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। যা গোপন রাখার দাবি তুলেছেন কেন্দ্রের আইনজীবীরা। গুজরাতে সিআইডি-র যে অফিসার ডি জি বানজারা-সহ পুলিশকর্তাদের গ্রেফতার করেছিলেন, সেই রজনীশ রাইকে দু'দিন আগেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্র।