জিও ব্যবহার করেন? আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর


দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে যে কোন সময় সব জিও কানেকশান বন্ধ হয়ে সেতে পারে। আনিল আম্বানির রিলায়েন্স কমিউনিকেশানের কাছ থেকে স্প্রেকটার্ম না কিনলে জিও কানেকশান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

জিওর প্রয়োজন পাঁচটি ৮০০ মেগাহার্তজ স্পেকটার্ম। যে কোন 4G LTE নেটওয়ার্কের জন্য যা বাধ্যতামুলক। অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিল নাডু ও কেরালার মতো গুরুত্বপূর্ণ সার্কেলগুলিতেও জিওর কাছে রয়েছে ৩.৮ ইউনিট ৮০০ মেগাহার্তজ স্পেকটার্ম। তাই গ্রাহককে ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও ইউনিট প্রয়োজন জিওর।

তাই জিওকে বাজারে টিকে থাকতে জলদি অতিরিক্ত স্পেকটার্ম কিনতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই সার্কেলগুলিতে আরও ভালো পরিষেবার জন্য যা বাধ্যতামুলক।

২০১৭ সালে এই স্পেকটার্ম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ১২২.4 ইউনিট স্পেকটার্ম আরকমের কাছ থেকে কেনার কথা ছিল জিওর। এর মধ্যে রয়েছে ৮০০ মেগাহার্তজের স্পেকটার্মগুলি। এই স্পেকটার্মগুলি বিক্রি করেই বাজারে ৪৬,০০০ কোটি টাকা দেনা শোধ করার পরিকল্পনা করেছিল আনিল আম্বানির কোম্পানি।

তাই এই কেনা বেচা জিও ও আর কম দুই কোম্পানির কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজ না হলে মুম্বাই, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, অসম ও উত্তরপূর্বের বাজ্যগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে জিওর পরিষেবা।

এই ইতিমধ্যেই আরকমের একাধিক স্পেকটার্ম ব্যবহার করে জিও। এই স্পেকটার্মগুলিও বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে আনিল আম্বানির কোম্পানি। তবে জিও গ্রাহকদের সঠিক পরিষেবা দিতে চাইলে এই স্পেকটার্ম কেনা বাধ্যতামুলক। তবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যে কোন দুটি কোম্পানি নিজের মধ্যে স্পেকটার্ম ভাগাভাগিন করতে পারে। এখানে সমস্যা হল প্রায় এক বছর হল বন্ধ হয়েছে আনিল আম্বার আর কম। তাই এখন আর আরকমের স্পেকটার্ম ব্যবহার করতে পারছে না জিও। গত সপ্তাহে টেলিকম মন্ত্রক আরকম ও জিওর এই ডিল খারিজ করে দিয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছিল সরকারের আইন মেনে তবেই এই কাজ করতে হবে।