চালকের অনভিজ্ঞতাই কাল!


চালকের অনভিজ্ঞতাই কাল হল। টানেলের মধ্যে আপত্‍কালীন পরিস্থিতিতে করণীয় কী? জানা ছিল না দেবাশিস দত্তের। তাঁর ভুলেই আতঙ্ক ছড়ায়। চাঞ্চল্যকর তথ্য জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে। কী করে দুর্ঘটনা? কেন আতঙ্ক ছড়াল মেট্রোরেলে? অন্তর্তদন্তে নেমেছিল জি চব্বিশ ঘণ্টা। বেলা সাড়ে ১২টায় শ্যামবাজার থেকে চড়লেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি। মেট্রো এগোল স্বাভাবিক ছন্দে। 

বিপত্তির ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। কিন্তু মেট্রোয় শোনা গেল না কেন বিশেষ ঘোষণা। আপত্‍কালীন পরিস্থিতিতে করণীয় কী? জানান হল না যাত্রীদের। আগুন ধরলে কাচ ভাঙতে হবে। সাধারণ ট্রেনের এসি কামরায় সেই ধরনের হাতুড়ি থাকে। মেট্রোর এসি রেকে এমন কোনও হাতুড়ি নেই। ত্রুটি আরও রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। বিদ্যুত্‍বাহী থার্ড রেলের সঙ্গে মেট্রো রেক যুক্ত থাকে টিআরসিসি-র মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার,  ২য় কোচের ৩য় টিআরসিসি ভেঙে যায়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এসি1 রেকটি সবচেয়ে পুরনো। তার টিআরসিসি-তে ফাটল ধরেছিল। টিআরসিসি ভাঙায় তীব্র স্ফূলিঙ্গ তৈরি হয়। তার থেকেই রাবার এয়ার সাসপেনশনে আগুন লাগে। 

কিন্তু এই দুর্ঘটনাতেও আগুন লাগার কারণ নেই। এখানে উঠে আসছে চালকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। জি চব্বিশ ঘণ্টা জানতে পেরেছে, মেট্রো চালাচ্ছিলেন দেবাশিস দত্ত। তিনি পূর্ব রেলের চালক। সাধারণ মেল এক্সপ্রেস চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডেপুটেশনে মেট্রো চালাতে এসেছেন। মেট্রো চালানোর প্রশিক্ষণ তাঁর রয়েছে। কিন্তু আপত্‍কালীন পরিস্থিতিতে করণীয় কী তা তিনি জানতেন না।

চালকের কী ভুল হয়েছিল? সূত্রের খবর, টিআরসিসি ভাঙার বিকট শব্দেই ঘাবড়ে গিয়ে ব্রেক কষেন চালক। ব্রেক কষার সময় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। তখন স্টেশন থেকে মাত্র দশ মিটার দূরে ছিল ট্রেন। টানেলে ট্রেন থামায় বিপদ বেড়ে যায়। কারণ, টানেলের মধ্যে দরজা খুলতে পারেননি চালক।

মেট্রো রেলের কর্মীরাই বলছেন, চালক ট্রেন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে গিয়ে থামালে বিপদ এড়ানো যেত। কারণ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থাকলে দরজা খোলা যেত। তখন যাত্রীদের নিরাপদে বের করতে অসুবিধা হত না, আতঙ্কও ছড়াত না।