অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষ করছেন রাজ্যের মহিলারা


মালদহ: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন গ্রামের মহিলারা। তাও আবার কৃষিকাজে। আর বদলে ফেলছেন গ্রাম। বিঘার পর বিঘা জমিতে সবুজ বিপ্লব ঘটছে। রাজ্য কৃষি দফতর ও উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় চলছে গ্রামের মানুষকে কৃষিকাজে স্বনির্ভর করার কাজ। আর এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাড়ির গৃহবধূরাও কৃষিকাজে উৎসাহী হচ্ছে। তবে কৃষি বিদ্যালয়ের দাবি এই উদ্যোগ ইতিমধ্যে গ্রামের মানুষ কৃষি কাজে যোগ দিচ্ছে।

মালদহ জেলার ১৫ টি ব্লকের মধ্যে সাতটি ব্লকে এই প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১৯ টি কৃষক ক্লাব। এক একটি ক্লাবে রয়েছে শতাধিক মহিলা। শুধু তাই নয় গ্রামের যুবকেরা কৃষিকাজের উপর উৎসাহ হারিয়ে ছিলেন। তারাও কৃষিকাজে সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে এসেছেন। যোগ দিয়েছেন কৃষি কাজে। গ্রামের পতিত জমিতে ফসল তৈরি হচ্ছে। মহিলারা বাড়িতে বসেই বীজ উৎপাদন করছেন।
 
গ্রামের বুলি, সরবানু, মুসেফারা জানান, কৃষিকাজে তাদের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। সরকারি কর্তাদের কাছে হাতে কলমে কাজ শিখে আজ তারা স্বনির্ভর। আর মেশিনের মাধ্যমে জমি তৈরি করে মেশিনে বীজ বপন করতে সময় কম লাগছে। তাতে সময় কম লাগছে ও উৎপাদন সঠিকভাবে হচ্ছে। সংসারের কাজের পাশে এমন কাজ করে আজ তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা সহ নানা কাজে চাষ করে রোজগার হওয়া অর্থ খরচ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি অল্প করে সঞ্চয়ও করছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবে সুখ এসেছে সংসারে।

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়ের অধ্যাপক তপময় ধর জানান, এই পদ্ধতি চাষ করার ফলে উৎপাদন যেমন বেড়েছে। তেমনি চাষের খরচ কমেছে। চাষ করতে জলের প্রয়োজনও কমেছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে চাষ জৈব সারের ব্যবহার বেড়েছে। ধান, ভুট্টা, সরিষা সহ নানান ফসল চাষ হচ্ছে। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। গত চার বছরে রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের সৌজন্যে বদলে গিয়েছে গ্রামের জমির চরিত্র। বদলে গিয়েছে বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিও। আগামী দিনে অন্যান্য গ্রামগুলিতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।