ব্লকে ব্লকে সংগীত মেলা করতে হবে, মন্ত্রীকে নির্দেশ মমতার
কলকাতা : "সংগীত মেলাকে ছড়িয়ে দিতে হবে একদম তৃণমূল স্তরে। সামনের বছর থেকে ব্লকে ব্লকে সংগীত মেলার আয়োজন করতে হবে।" গতকাল রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে এমনই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগীত মেলায় শিল্পীর হাতে সম্মান তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে গতকাল সংগীত মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৪ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার ১০টি মঞ্চে চলবে সংগীত মেলার অনুষ্ঠান। সংগীত মেলার পাশাপাশি গতকাল বিশ্ব বাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবেরও সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, "গ্রাম বাংলার শিল্পীদের দিয়ে সংগীতজগতের পরিসরকে আরও ছড়িয়ে দেওয়াই হল রাজ্যের লক্ষ্য।" সংগীত শিল্পীদের জন্য তাঁর সরকার নানা পদক্ষেপ করেছে বলে মন্তব্য করেন। বলেন, বহু সংগীত শিল্পী এখন কাজের সুযোগ পেয়েছেন। সরকারি বিজ্ঞাপন করানো হচ্ছে গ্রামবাংলার শিল্পীদের দিয়ে। মাসিক ভাতা পাচ্ছেন লোকশিল্পীরা।
এরপরই তিনি বলেন, সংগীত জগতের পরিসর আরও ছড়িয়ে দিতে সংগীত মেলাকে পৌঁছে দেওয়া হবে তৃণমূল স্তরে। আগামী বছর থেকে ব্লকে ব্লকে সংগীত মেলার আয়োজন করা হবে। ব্লকে ব্লকে সংগীত মেলা করতে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল বাংলার বেশ কয়েকজন শিল্পীকে সংগীত মহাসম্মান ও সংগীত সম্মান প্রদান করা হয়। রূপঙ্কর, রাঘব, শান, অরিজিৎ সিং, মনোময় ভট্টাচার্য, সৈকত মিত্ররা সংগীত মহাসম্মানে ভূষিত হন। সরস্বতী দেবী, গীতা চৌধুরি, মানব মুখার্জি, গীতা হাঁসদার মতো গ্রামীণ লোকসংগীত শিল্পীদের সংগীত সম্মানে ভূষিত করা হয়।