কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন সজ্জন কুমার


নয়াদিল্লি: কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন সজ্জন কুমার৷ সোমবারই দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি৷ মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে ইস্তফার কথা জানান সজ্জন কুমার৷
 
শিখ বিরোধী সংঘর্ষে সোমবার দোষী সাব্যস্ত হন সজ্জন কুমার৷ দিল্লি হাইকোর্ট কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়৷ আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এর আগে ট্রায়াল কোর্ট কংগ্রেস নেতাকে বেকসুর খালাস করেছিল৷ সেই রায় খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েলের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পাশাপাশি সজ্জন কুমারকে নির্দেশ দেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার৷ এই সময়ের মধ্যে শহরের বাইরেও তিনি যেতে পারবেন না বলে জানান বিচারপতিরা৷

১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ বিরোধী সংঘর্ষে তিন হাজার শিখকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়৷ রাজনগর এলাকার একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুনে অভিযুক্ত ছিলেন সজ্জন কুমার৷ ৭৩ বছরের সজ্জন দিল্লির কংগ্রেস নেতা৷ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন জগদীশ কৌর৷ আদালাত তাঁর সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে৷ তবে ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছে, অপরাধীরা রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় পেয়ে থাকে৷ পাশাপাশি হাইকোর্ট পুলিশের তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে৷

হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে আম আদমি পার্টি ও শিরোমণি অকালি দল৷ দাগী অপরাধীকে কেন দলে ঠাঁই দিল কংগ্রেস? এই প্রশ্ন তুলে হাত রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ শুরু করে বিজেপি৷ পালটা কংগ্রেসের তিন ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে৷ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল জানান, সজ্জন কুমারকে নিম্ন আদালত বেকসুর বলে জানিয়েছিল৷ দল দোষীদের রেয়াত করে না৷ তাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাকা হয়নি৷

লোকসভার আগে দলের স্বচ্ছভাবমূর্তী তুলে ধরতে মরিয়া রাহুল গান্ধী৷ সজ্জন কুমার ইস্যু যাতে ১৯শের লোকসভায় বিজেপি'র প্রচারের অস্ত্র না হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে সচেতন কংগ্রেস৷ সজ্জন কুমারের কাছে স্পষ্টই ছিল দল তাঁর পাশে নেই৷ ফলে ইস্তফা ছাড়া তাঁর কাছে কোনও বিকল্প ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷