ভরদুপুরে শহরে চপারে মাথা কেটে উল্লাস করল খুনি

এই ব্যক্তিকেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।


ঘিঞ্জি এলাকা। ভর দুপুরে রাস্তায় প্রচুর ভিড়। হঠাৎই একটি দোকানের পাশে দেখা গেল, এক ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। ধড়-মুন্ডু আলাদা। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। পাশে চপার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক যুবক!

ঘটনাস্থল রাজাবাগান এলাকার সিমপুকুর লেন। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।এই দৃশ্য দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান পথচলতি মানুষ। তাঁদেরই মধ্যে বশির নামের এক যুবক চপার হাতে ওই যুবককে আটকাতে যান।তাঁর হাতেও পড়ে চপারের কোপ।পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে, এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। 

মৃতের নাম ইশামুল হক  ওরফে চুন্নু মিঞা (৪৮)। তাঁরবাড়ি শ্যামপুকুর এলাকাতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কালাম কুরেশি নামে এক ব্যক্তিকে। কেন তাঁকে এভাবে মাঝ রাস্তায় গলা কেটে খুন করা হলে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরনো শত্রুতার কারণেই চুন্নুকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে উত্তেজিত জনতা মারধর করে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সে জানিয়েছে, তার স্ত্রীকে নাকি উত্যক্ত করতেন চুন্নু মিঞা। তাই তাঁকে খুন করেছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এদিন চুন্নু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কালাম কুরেশি তাঁর উদ্দেশে গালাগালি করেন। কেন তাঁকে এভাবে গালাগালি দেওয়া হল, তা জানতে এগিয়ে যান চুন্নু। তখনই চপার দিয়ে তাঁর গলায় কোপ মারে কালাম।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান উপনগরপাল (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। উত্তেজিত জনতা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশাল পুলিশ নামানোর পর, ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রেজা বলেন, ''এই ঘটনায় মহম্মদ কালাম কুরেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত পলাতক। কেন খুন করা হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।''