মালিয়ার প্রত্যর্পণ মামলায় নিষ্পত্তির ইঙ্গিতে লন্ডনে সিবিআই-ইডি কর্তারা


নয়াদিল্লি: সোমবার ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালতে পলাতক লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ মামলায় রায় দিতে পারেন বিচারক৷ সে জন্য সিবিআই ও ইডির একটি যৌথ দল রবিবার রওয়া দিল লন্ডনের উদ্দেশ্যে৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এ সাই মনোহর৷ ঋণ খেলাপি বিজয় মালিয়া গত দু'বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন৷ ঋণ খেলাপি মামলায় বিজয় মালিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷ তাই মালিয়ার প্রত্যপ্রণ চেয়ে সে দেশের আদালতে মামলা করে ভারত৷

এর আগে মালিয়াকে বারতে ফেরাতে চেয়ে একাধিক পদক্ষেপ করে বারত৷ কিন্তু কোনটাই সফল হয়নি৷ ২০১৭ সালের ১৩ই জুন লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের মামলার শুনানি ছিল৷ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হয়ে ব্রিটেনের সরকারি '‌ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস'‌ প্রত্যর্পণের দাবির সপক্ষে নথিপত্র পেশ করে। তার পরও মালিয়ার জামিনের মেয়াদ ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় আদালত। পরে ফের তা বেড়ে হয় ২০১৮-এর শেষ অব্দি৷

মালিয়া সহজেই জামিন পেয়ে যাওয়ায় রীতিমতো অপ্রস্তুত ছিল মোদী সরকার। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং দিল্লিতে বলেছিলেন, 'মালিয়াকে দেশে ফোরানোর জন্য যা করা দরকার, কেন্দ্রীয় সরকার সব করবে। প্রত্যর্পণ আদৌ সহজ প্রক্রিয়া নয়। চেষ্টা চলছে। কবে মালিয়াকে ফেরানো যাবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।'

বিজয় মালিয়া তার উড়ান সংস্থা ‌কিংফিশার এযারলাইন্স‌–এর নামে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধ না করেই সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ২০১৬ সাল থেকে তার বসবাস ব্রিটেনে। বেশ কয়েকবার তার সংস্থাকে আদলতের নোটিস পাঠানো হলেও তার কোনও জবাব আসেনি। এর পরই তাঁকে দেশে ফেরাতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আগে থেকেই আছে। তার প্রেক্ষিতে মালিয়াকে ফেরাতে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনের কাছে লিখিত আবেদন করে ভারত। প্রত্যর্পণ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হলে ২০১৭-এর ১৮ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে ৬,৫০,০০০ পাউন্ডের জরিমানায় জামিনে মুক্তি হয় তার৷ তবে এবার আদালত ভারতের পক্ষেই রায় দেবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র৷

গত সপ্তাহেই ঋণের আসল টাকা ব্যাঙ্কদের সোধ করে দেওয়ারহবে বলে লন্ডন থেকে ট্যুটারে জানিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া৷ তার নিশানায় ছিল ভারতের একাংশের সংবাদ মাধ্যম ও রাজনীতিবিদরা৷ ভারতের দাবি, ওয়েস্টমিনস্টার আদালতে এবার আর রেহাই মিলবে না৷ ফলে ঋণ নিটিয়ে দেওয়ার আবাদন করেন মালিয়া৷