পাঁচ রাজ্যের হারে পাঁচ শিক্ষা পেল বিজেপি, চ্যালেঞ্জের মুখে মোদীর নীতি


ফল খারাপ হবে জানত বিজেপি। জানতেন নরেন্দ্র মোদী, জানতেন অমিত শাহ। কিন্তু এতটা খারাপের আন্দাজ অবশ্যই করতে পারেননি মোদী কিংবা তাঁর সেনাপতি শাহ।

পাঁচ রাজ্যেই ধরাশায়ী বিজেপি। কেন্দ্রে বিপুল শক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন কোনও দলের এমন পরাজয় সত্যিই বেনজির। কিন্তু কেন? এমন পরাজয় কেন?

রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহল এর পিছনে মূলত তিনটি কারণ দেখতে পাচ্ছে। আর তারই ফল হাতেনাতে পেল বিজেপি।

১। তালাক প্রথা বেআইনি করে মুসলমান সমাজের মহিলা ভোট কাছে টানতে চেয়েছিল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সেই ইস্যু অনেকটা কাজে লাগলেও এ বার আর তা ফল দেয়নি। সংখ্যালঘু ভোট টানার রাজনীতি কাজ করেনি।

২। আরএসএস অনেক দিন ধরেই কড়া হিন্দুত্বের লাইন নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও কার্যত তাতে কর্ণপাত করেননি মোদি। উন্নয়নের ইস্যুতেই ভোট লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোটের হাওয়া আন্দাজ করতেই ব্যর্থ হয়েছে টিম শাহ।

৩। কালো টাকা নিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কথা রাখতে পারেনি সরকার। অর্থনৈতিক সংস্কারের নানা সিদ্ধান্ত নিলেও সাধারণ মানুষের জীবনে তার কোনও প্রতিফলন মেলেনি। কর্মসংস্থানের কথাও রাখতে পারেনি মোদী সরকার।

৪। গত পাঁচ বছরে গ্রামীণ ক্ষেত্রের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। তবু গ্রামের ভোট মেলেনি। আসলে কৃষকদের 'মন কি বাত' আঁচ করতেই ব্যর্থ হয়েছেন 'মন কি বাত'-এর প্রবক্তা।

৫। 'পাপ্পু'। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে এই নামে সম্বোধন করে কার্যত খাটো করে দেখাতে চেয়েছে বিজেপি। কিন্তু ভোটের ময়দানে রাহুল দেখিয়ে দিলেন, গ্রামীণ ক্ষেত্রে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতটা। বিজেপি বুঝল, এখনও গাঁধী পরিবারের ক্যারিশ্মাকে খাটো করে দেখার সময় আসেনি।