ইডি-র চার্জশিট প্রমথনাথ মান্নাকে, এখনও হদিশ নেই ২৬০০ কোটির!

হদিশ নেই বাজার থেকে তোলা ২৬০০ কোটি টাকার বেশির ভাগেরই। সেই অবস্থাতেই এমপিএস মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

নগর দায়রা আদালতে ইডি-র বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারক জেল বন্দি এমপিএস কর্তা প্রমথনাথ মান্নাকে আগামী ১৫ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইডি তাদের চার্জশিটে এমপিএস কর্তার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বকুলরানি এবং দুই মেয়ে দেবশ্রী, কৃষ্ণাকেও অভিযুক্ত করেছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে ভোলানাথ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকেও। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ''সকলকেই ১৫ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।''

ইডির দেওয়া চার্জশিট অনুযায়ী ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম (সিআইএস)-এর নামে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা এমপিএস বাজার থেকে তোলে। কিন্তু লগ্নিকারিরা টাকা ফেরত পাননি। এর পরই চারটি আলাদা আলাদা অভিযোগ জমা পড়ে এমপিএসের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে এমপিএস কর্তা প্রমথনাথ মান্নাকে। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্ত শুরু করে এবং ইডিও তদন্তে নামে বাজার থেকে তোলা টাকার হদিশ পেতে।

ইডির দেওয়া চার্জশিট অনুসারে, প্রমথনাথ মান্না, ভোলানাথ দাস নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পেট্রল পাম্প মালিকের মাধ্যমে বেনামে বহু কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। অন্য দিকে, বাজার থেকে তোলা লগ্নিকারিদের টাকা মেয়ে ও স্ত্রী-র নামে খোলা দু'টি আলাদা কোম্পানির মাধ্যমে পাচার করেছেন। কিন্তু সেই টাকা এখন কোথায় এবং সেই টাকা দিয়ে কী কী সম্পত্তি কেনা হয়েছে তা এখনও হদিশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা।

এমপিএস-এর আগে ১৯৮২ সালেও একই রকম চিটফান্ড খুলেছিলেন প্রমথনাথ। অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে শতদল সেভিংস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (ইন্ডিয়া) লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে সামনে রেখে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। যদিও পাঁচ বছরের মধ্যে ফের নতুন কলেবরে একই ব্যবসা শুরু করেন প্রমথনাথ। তবে এ বার ঝাড়গ্রাম থেকে। আদালত প্রমথনাথ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদেরও ১৫ জানুয়ারি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে।