পাহাড়ে বরফ, হিম সমতল


সিকিম থেকে ভুটান, ভুটান থেকে দার্জিলিং পাহাড়। সাদা বরফের চাদরে ছেয়ে গেছে। তাপমাত্রা একধাক্কায় শূন্যের অনেকটা নিচে নেমে গেছে। অন্যদিকে পর্যটকদের উচ্ছ্বাসে সরগরম সান্দাকফু থেকে ছাঙ্গু। এমন তুষারঝরা দিন দেখতে পাবেন, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশের একঝাঁক পর্যটক। অন্যদিকে, সকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জমে হিম উত্তরবঙ্গের সমতল। ছাতা বেরিয়েছে। বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসের দাপটে রাস্তা কার্যত শুনশান। বিপর্যস্ত বাজারঘাট। শিলিগুড়ির ফুটপাতে শীতপোশাকের দোকানে কেনাকাটা পুরো বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, পৌষের শুরুতেই বৃষ্টিপাতের জেরে তাপমাত্রা হঠাৎ কমতে শুরু করে মঙ্গলবার। ভোর থেকে পাহাড় সমতলে লাগাতার বৃষ্টির জেরে সমতলের তাপমাত্রা ১৩–‌‌১৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে। পাহাড়ের কিছু কিছু এলাকা মাইনাস তিন ডিগ্রিতেও নেমে যায়। এর সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ থাকায় অনুকূল আবহাওয়া পেয়ে ব্যাপক তুষারপাত হতে শুরু করে সান্দাকফু, ফালুট, টোংলু, কালাপোখরি–‌সহ বিভিন্ন উঁচু এলাকায়। সান্দাকফু থেকে নরবু শেরপা জানান, এদিন প্রায় ৪ ইঞ্চি উঁচু হয়ে তুষার জমেছে। সান্দাকফুতে ওই সময় প্রায় ১০০ পর্যটক ছিলেন।

সিকিম ও ভুটানের বিস্তীর্ণ এলাকাও তুষারে ঢেকে যায়। টাইগার হিল থেকে লোকেশ্বর ঠাকুরি জানান, '‌সর্বত্র তুষারপাতের খবর পেয়ে দার্জিলিং থেকে প্রচুর বাংলাদেশি পর্যটক টাইগার হিলে আসেন। এখানকার তাপমাত্রাও শূন্যের কাছাকাছি নেমে এসেছিল।'‌ শৈলশহরের হোটেলগুলিতে জায়গা নেই বললেই চলে। পর্যটন–‌কর্তা সম্রাট সান্যাল জানান, '‌বড়দিনের আগেই প্রচুর পর্যটক আসায় এই মরশুম নিয়েও উচ্ছ্বসিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা।'‌ এদিন দার্জিলিং শহরে তাপমাত্রা ২° ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। সোমবার গভীর রাতের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি–‌সহ গোটা ডুয়ার্স এলাকায় ঝিরিঝিরি ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানী দেবপ্রিয় রায় বলেন, '‌ নিম্নচাপের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও অনেকটা কমতে পারে।'