টয় ট্রেনে এ বার জঙ্গল সাফারি! থাকছে খাবারের ব্যবস্থাও

আবেগ: দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন।

নিয়মিত ক্ষতিতে চলছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। তার মধ্যেই যাত্রী বাড়াতে নতুন টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হল রবিবার। শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারের 'ইভনিং জঙ্গল সাফারি' নামে প্রায় ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ওই জয় রাইডে থাকছে খাবারদাবারের ব্যবস্থাও।

এ দিন শিলিগুড়ি জংশন থেকে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত সবুজ পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটির যাত্রা শুরু করান। তিনি বলেন, ''আমরা চেষ্টা করছি, নতুন আকর্ষণ বাড়িয়ে যাতে যাত্রী বাড়ানো যায়। এটা এখন রোজই পরীক্ষামূলক ভাবে চলবে। যাত্রী বাড়লে আমরা আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়াব।''

দার্জিলিং হিমালয়ান রেল সূত্রের খবর, এখন এনজেপি, শিলিগুড়ি, কার্শিয়াং, ঘুম থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের নানা পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু তাতে সার্বিক ভাবে যাত্রীর অভাবে লোকসান হচ্ছে। সারা বছর প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ। কিন্তু তার তুলনায় টিকিট বিক্রির হার ৬ থেকে ৭ কোটির কাছাকাছি। অভিযোগ, দার্জিলিং হিমালয়ান রেল নিয়ে প্রচার করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। যদিও এই দাবি মানতে চাননি রেলের কর্তারা। ট্রেনটি রবিবার থেকে চালানো হবে বলে আগে থেকে ঘোষণা হওয়ার পরেও কর্তারা ঠিক করতে পারছিলেন না, শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত ট্রেনটি রোজ চলবে কিনা। তারপর রোজ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের ওই নতুন জঙ্গল সাফারিতে এ দিন যাত্রী একেবারেই হয়নি। 

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি রোজ বিকেল ৩টেয় শিলিগুড়ি জংশন থেকে ছেড়ে প্রথমে সুকনা স্টেশনে আধঘণ্টা দাঁড়াবে। সেখানে রেল মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। তারপর সরাসরি রংটংয়ে গিয়ে সেখানেও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তবে ফেরত আসবে। প্রথম শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার টাকা এবং ডাইনিং কার শ্রেণিতে ভাড়া ১২০০ টাকা। তবে রেলকর্তারা জানিয়েছেন, ডাইনিং শ্রেণিতে আসনের সঙ্গে একটি টেবিল থাকবে। তুলনায় একটু আরামদায়ক। কোনও খাবারের ব্যবস্থা থাকছে না। দু'টি শ্রেণিতেই আগে থেকে রান্না করা টিফিন এবং স্ন্যাকস আলাদা করে কিনতে হবে যাত্রীদের।