দুই তরুণীর প্রাণ বাঁচিয়ে মৃত্যুর মুখে, নৈহাটির যুবকের জন্য সাহায্যের আবেদন নেটদুনিয়ায়


জীবন বাজি রেখে মৃত্যুর মুখ থেকে দুই তরুণীকে রক্ষা করেছিলেন। সেই পরিত্রাতাই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একেকটা দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, যমে-মানুষে টানাটানির শেষ নেই। গত ১৩ ডিসেম্বরের পর থেকে এক সপ্তাহ নার্সিংহোমে ভরতি জীবনবাবু। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। সামান্য কেক-বিস্কুটের দোকানের মালিক জীবনবাবু ও তাঁর পরিবারের এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। নৈহাটির বাসিন্দা জীবন সরকারের করুণ পরিণতিতে পাশে দাঁড়াচ্ছেন সব শ্রেণির মানুষ। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা বাকিদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরজি জানাচ্ছেন। মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে সবাইকে অনুরোধ করছেন তাঁর শুভাকাঙ্খীরা।

নৈহাটির জীবন সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর শ্যামনগর স্টেশনে নিজের জীবনকে বাজি রেখে কানে মোবাইল নিয়ে রেললাইন পার হওয়া দুই তরুণীকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচান। তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বাঁচিয়ে দিলেও নিজে সেই ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন, যা তাঁর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। জীবনবাবু নিজে নৈহাটির ৬ নং বিজয়নগর অঞ্চলে কেক-বিস্কুটের একটি ছোট দোকানের মালিক। তাঁর নিজস্ব সঞ্চয়ও তেমন নেই বললেই চলে। তাঁর জামাইবাবু ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ব্যবস্থা করেছেন। তবে বাকি টাকা খুব তাড়াতাড়ি যোগাড় করতে না পারলে জীবনবাবুর প্রাণসংশয় রয়েছে। এমন একজন অকুতোভয় মানুষকে হারাতে চান না সমাজের কেউই। তাই তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের জন্য আবেদনও রাখছেন তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা। অন্যতম সদস্য জীবন সরকারের জন্য সাহায্যের আরজি জানিয়েছে নৈহাটির নিউস্টার ক্লাবও।

যে দুই তরুণীর তিনি প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁদেরকেও এই মহৎ উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসার জন্য বিনীত আবেদন জানানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে 'সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন' পাঠকদের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ রাখছে। নিচে দেওয়া ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা জমা করতে পারবেন। আপনার সাহায্যের অর্থ জীবনবাবুকে ফের জীবন সংগ্রামে ফেরত আনতে পারবে।