ভারতীয়দের মহাকাশে পাঠাতে ১০,০০০ কোটি দেওয়ার কথা জানাল কেন্দ্র


নয়াদিল্লি: মহাকাশে যাবে ভারতীয় মহাকাশচারীরা। ২০১৮-র ১৫ অগাস্ট সেকথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই প্রজেক্টের জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই প্রজেক্টের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

ইসরোর চেয়ারম্যান ড. কে শিবান জানিয়েছেন, ২০২২-এ সেই অভিযানে যাবেন মহাকাশচারীরা। তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারী সাতদিন কাটাবেন মহাকাশে।

ইসরো তাদের সবথেকে বড় লঞ্চ ভেইকল GSLV Mk III ব্যবহার করে পাঠাবেন মহাকাশচারীদের। আগামী ৪০ মাসের মধ্যেই লঞ্চ করা হবে প্রথম মিশন। এই মিশনে যাবে দুটি আনম্যানড বা মানববিহীন বিমান ও একটি মনুষ্যচালিত। অ্যাস্ট্রোনট নয় ভারতীয় মহাকাশচারীদের বলা হবে 'ব্যোমনটস'। সংস্কৃতের ব্যোম শব্দের অর্থ মহাকাশ।

মহাকাশচারীদের এই অভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই ইসরো খরচ করেছে ১৭৩ কোটি। ২০০৮-এ প্রথম এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু, আর্থিক কারণেই পিছিয়ে যায় সেই প্রজেক্ট।

৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের একটি কক্ষপথে অবস্থান করবে সেই স্পেসক্রাফট। আসল অভিযানের আগে মানুষ ছাড়াই দু'বার এই গগনায়ন পাঠানো হবে মহাকাশে।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা 'গগনযান'-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে। তবে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।