জিএসটি-র হারে বদল, কমল ৩৩টি নিত্যপণ্য জিনিসের দাম

অরুণ জেটলি।

সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর কাঠামো ফের বদলে ফেলল মোদী সরকার। ৩৩টি নিত্যপণ্য জিনিসের জিএসটি হার ১৮ থেকে কমিয়ে ১২ এবং ৫ শতাংশ করা হল। ফলে ওই জিনিসগুলির দাম কমে গেল অনেকটাই। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই নয়া জিএসটি হার কার্যকর হবে।

চেয়ারম্যান অরুণ জেটলির নেতৃত্বে শনিবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক বসেছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক থেকে বেরনোর সময় এ কথা জানান পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তিনি জানান, ''সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র বিলাস দ্রব্যের ক্ষেত্রেই জিএসটির হার ২৮ শতাংশ রাখা হবে। আগামী বছর জানুয়ারিতে জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠক। সেখানে রিয়েল এস্টেট নিয়ে আলোচনা হবে।''

ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন অরুণ জেটলিও। তিনি বলেন, ''আজ জিএসটি কাউন্সিলের ৩১তম বৈঠক ছিল। তাতে করের বিভিন্ন স্তরগুলি সরলীকরণের প্রস্তাব ওঠে। যাতে সাধারণ মানুষ বিপাকে না পড়েন, আবার রাজস্ব আদায়েও ভারসাম্য বজায় থাকে।''
জিএসটি পরিকাঠামোর বদলে যে পণ্যগুলির দাম কমতে চলেছে, সেগুলি হল, কপিকল, ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর এবং টেলিভিশন। দাম কমছে পুরনো রবারের টায়ার, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দিয়ে তৈরি মোবাইল পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং খেলার সরঞ্জামের।
৩২ ইঞ্চির টেলিভিশন এবং কম্পিউটার মনিটরের জিএসটি হার ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে।

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আগে থেকেই ১৮ শতাংশের স্তরে ছিল। তাতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

দাম কমছে সিনেমার টিকিটেরও। ১০০ টাকার মধ্যে টিকিটের দাম হলে এতদিন তাতে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসত। এ দিন তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ১০০ টাকার বেশি দামের ক্ষেত্রে আগে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসত। তা কমিয়ে আনা হয়েছে ১৮ শতাংশে।
ভিডিয়ো গেমসের সরঞ্জাম এবং ডিজিটাল ক্যামেরাকেও ২৮ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কথা ভেবে হুইল চেয়ারের সরঞ্জামের জিএসটি কমিয়ে ২৮ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তবে এয়ার কন্ডিশনার, সিমেন্ট, পান মশলা, কোল্ড ড্রিঙ্ক এবং তামাকজাত দ্রব্যের উপর ২৮ শতাংশ করই বসবে।

নয়া জিএসটি-র হার চালু হলে দেশের রাজস্বে সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন অরুণ জেটলি।