ওয়েইসিকে ছাড়লেই সমর্থন, ভোটগণনার আগেই কেসিআর-কে প্রস্তাব বিজেপির


(বাঁ দিকে) কে চন্দ্রশেখর রাও, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (মাঝখানে) এবং কে লক্ষ্মণ।

অধিকাংশ ভোট পরবর্তী সমীক্ষা বলছে, তেলঙ্গানায় ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি  (টিআরআএস)। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। সেই আঁচ পেয়েই ভোট গণনার দু'দিন আগে টিআরএস-কে শর্তাধীন সমর্থনের প্রস্তাব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গ ছাড়লেই বিজেপির সমর্থন পাবে টিআরএস, বললেন তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি কে লক্ষ্মণ।

একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মণের দাবি, ''তেলঙ্গানায় বিজেপিই হবে নির্ণায়ক শক্তি।'' অর্থাৎ টিআরএস এবং তার সঙ্গী মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন সরকার গড়তে পারবে না। দরকার পড়বে বিজেপির। আর এই প্রশ্নেই লক্ষ্মণ বলেন, ''টিআরএস-কে আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। যদি আসাদউদ্দিনের মিম-এর সঙ্গে থাকে টিআরএস, তাহলে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই নেই। অকংগ্রেসি, অ-মিম জোটকে সমর্থন করবে বিজেপি।''

লক্ষণ অবশ্য এ-ও বলেছেন, ''চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মোদী-অমিত শাহ জুটিই। তবে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।'' যদিও কেসিআর বা তাঁর দলের কারও তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যধিকে আসাদ উদ্দিন আগেই জানিয়েছিলেন, টিআরএস-কে সমর্থন করলেও সরকারে যাবে না তাঁর দল।

ভোটের আগে থেকেই কেসিআর-কে বিজেপির 'বি-টিম' বলে প্রচার চালাচ্ছিল কংগ্রেস-টিডিপি জোট। কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে যে মহাজোট গড়ার প্রচেষ্টা চলছে, কেসিআর তার বিরোধী বলেও সুর চড়ান দুই দলের নেতারা। বিজেপির এই প্রস্তাবে তাঁরা নতুন করে আক্রমণের অস্ত্র পেলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

মেয়াদ ফুরনোর আট মাস আগেই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে তেলঙ্গানায় ভোটে গিয়েছিলেন কেসিআর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন, জুয়া খেলেছেন কেসিআর। তবে ভোট পরবর্তী প্রায় সব সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত, সেই জুয়ায় জিতে যাচ্ছেন তেলঙ্গানার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন কেসিআর।

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর তেলঙ্গানার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং মিজোরামের ভোটগণনা হবে।