হাত-পায়ে অতিরিক্ত আঙুল নিয়ে জন্মেছিল শিশু, নিজের হাতে কেটে দিলেন মা, তারপর...


মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হারমানায় এই ঘটনা। মাত্র সাত দিনের শিশুর উপর অমন অত্যাচার, যা কল্পনাতীত। আবার তা ঘটালেন জন্মদাত্রীই। জন্মের পরই দেখেছিলেন মেয়ের হাতে ও পায়ে ছ-টি করে আঙুল। তাতেই আঁতকে উঠেছিলেন মা। সেখানেই শেষ নয়, তা দেখে মা এমনই কাণ্ড ঘটালেন, শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল শিশু।

মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া জেলার ঘটনা। এক আদিবাসী মহিলা জন্ম দিয়েছিলেন ফুটফুটে কন্যা সন্তানের। অস্বাভাবিকত্ব বলতে এই যে, তার হাতে ও পায়ে ছিল ছ-টি করে আঙুল। তাতেই মা হয়ে উঠলেন নির্মম। কী করে মেয়ের বিয়ে দেবেন! এই ভাবনা থেকেই তিনি বাড়তি আঙুল গুলি কেটে দিলেন নবজাতকের।

তারপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বাঁচানো গেল না শিশুকে। দুই পায়ে ছটি করে আঙউল নিয়েও যে খ্যাতির শিখরে পৌঁছনো যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার স্বপ্না বর্মন। তাও ভুলে গেলেন এই মা। নৃশংস-কাণ্ড ঘটিয়ে তিলে তিলে বেড়ে ওঠা একটা শিশুকে শেষ করে দিলেন নিমেষে। কী মর্মান্তিক ঘটনা!

গত ২২ ডিসেম্বর খাণ্ডোয়া জেলার সুন্দরদেব গ্রামের তারাবাঈ ওই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর দুই হাত ও দুই পায়ে ছিল মোট ২৪টি আঙুল। মা সবার অলক্ষ্যে মেয়ের প্রতিহাত ও পায়ের একটি করে আঙুল কেটে বাদ দিয়ে দেন। তারপর কাটা জায়গায় গোবরের প্রলেপ দিয়ে রাখেন। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ। চিকিৎকের কাছে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে আজও কুসংস্কারের ঘেরাটোপ ভেদ করে বেরিয়ে আসতে পারেনি ডিজিটান ইন্ডিয়ার মানুষ।