শ্বশুরের লালসার শিকার নববধূ! এক অভিশপ্ত রাতেই তরুণীর দু-চোখ ভরা স্বপ্নে ইতি


এক অভিশপ্ত রাতেই শেষ সারা জীবনের স্বপ্ন। সবে বিয়ে করে স্বামীর সংসারে পা রেখেছিলেন, এর মধ্যেই ঘৃণ্যতম ঘটনার মুখোমুখি হতে হল তাঁকে। নববধূ হয়ে বাড়িতে পা রাখার পর শ্বশুরের লালসার শিকার হলেন তিনি। স্বামী-শাশুড়ির কাছে চেয়েছিলেন বিচার, শেষমেশ অবিচারের বলি হয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হলেন বছর ২০-র তরুণী।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাজারিয়া এলাকায় ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। নববিবাহিত বধূ শ্বশুরের বিরুদ্ধেই এনেছিলেন ধর্ষণের অভিযোগ। কিন্তু স্বামী বা শাশুড়ি কেউই গুরুত্ব দেয়নি তাঁর কথার, কোনও ব্যবস্থাও নেননি। তাই যা ব্যবস্থা না নেওয়ার নিজেই নিলেন তরুণী বধূ। স্বামীর সংসার ত্যাগ করে চলে গেলেন বাপের বাড়ি। লজ্জায়-অপমানে আত্মহত্যা করলেন তিনি।

তিনি যে শ্বশুরের লালসার শিকার হয়েছেন, সবার আগে তা জানিয়েছিলেন শাশুড়িকে। কিন্তু শাশুড়ি তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। মুখ খুললে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে জানান তিনি। এরপর তিনি স্বামীর কাছে যান। সব ঘটনা খুলে বলেন। স্বামীও বলেন চুপ থাকতে, প্রয়োজনে ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলে সে।

তারপরই তরুণী নিয়ে নেন চরম সিদ্ধান্ত। নরসিংহপুরে বাপের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। সেখানে গিয়েই তিনি আত্মহত্যা করেন। নরসিংহপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নববধূর শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে আত্ম্হত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ।

বাজারিয়া পুলিশ জানিয়েছে, জুন মাসে বিয়ে হয়েছিল তরুণীর। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর থেকেই শ্বশুর তাঁর উপর কু-দৃষ্টি দিতে শুরু করে। তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেও শুরু করে। এরই মধ্যে একদিন বাড়িতে একা ছিলেন তরুণী, তখন তাঁর শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করে। শ্বশুরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করায় তাঁর স্বামীও তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে। বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এরপর চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বামী তাঁকে আত্মহত্যার চ্যালেঞ্জও দেয় বলে অভিযোগ।