প্রবল বৃষ্টিতে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই শপথ নিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল

শপথ নিচ্ছেন ভূপেশ বাঘেল।

ছত্তীসগঢ়ের অষ্টাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ভূপেশ বাঘেল। আর শপথ নিয়েই জানিয়ে দিলেন, প্রতিশ্রুতি মতো আগামী ১০ দিনের মধ্যে কৃষিঋণ মকুব করে দেবেন তিনি। সোমবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। নয়া সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন টিএস সিংহ দেও এবং তাম্রধ্বজ সাহুও। তাঁরা দু'জনেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। রায়পুরে শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, নভজ্যোত সংহ সিধু, ফারুখ আবদুল্লা, শরদ যাদব, রাজ বব্বর, সচিন পাইলট, অশোক গহলৌত এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহও। মঞ্চে তাঁকে আলিঙ্গন করে সৌজন্য দেখান রাহুল।

রবিবারই বাঘেলকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কংগ্রেস। আর সোমবারই আয়োজন হয় তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের। তবে এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সায়েন্স কলেজের মাঠে প্রথমে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টি না থামায় তা  বুড়া তালাও এলাকার বলবীর জুনেজা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতে সমস্যা মেটা তো দূর, বরং চূড়ান্ত অব্যবস্থা চোখে পড়ে।

৫ হাজার দর্শকাসন রয়েছে ওই স্টেডিয়ামে। এ দিকে, বাঘেলের শপথ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। হুড়মুড় করে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। তার জেরে দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাতে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হন।

হু কংগ্রেস নেতা-সদস্যও ঢুকতে পারেননি স্টেডিয়ামে। বাস্তার থেকে আসা ঈশ্বরচন্দ্র পাণিগ্রাহীবলেন,''অনেক আশা নিয়ে শপথ অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু অব্যবস্থার জন্য তা আর হয়ে উঠল না।''