নিউটাউনের মৃত আইনজীবীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ


কলকাতা: নিউটাউনের আইনজীবী রজত দে'র খুনে গ্রেফতার স্ত্রী অনিন্দিতা দে৷ রবিবার ধৃত অনিন্দিতাকে বারাসত আদালতে তোলা হবে৷ খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

শনিবার দুপুরে নিউটাউন থানার পুলিশ প্রথমে তাঁকে আটক করে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রজত দে খুনের ঘটনায় নিজের বয়ান বদল করেন অনিন্দিতা৷ মৃত আইনজীবীর স্ত্রীর বয়ান বদলের ঘটনায় রহস্য ঘণীভূত হতে থাকে৷ পরে জানা যায় রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল, ল্যাপটপ৷

গত ২৬শে নভেম্বর নিজের ফ্ল্যাট থেকেই মৃত অবস্থায় মেলে আইনজীবী রজত দে'র দেহ৷ কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়৷ সেই সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন আইনজীবীর স্ত্রী৷ মৃত্যর পরই রজতবাবুর স্ত্রী অনিন্দিতা পাল বলেন কী কারণে মৃত্যু তা জানেন না তিনি৷ ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়নি৷ এই অভিযোগ করেন রজতবাবুর বাবা৷ বৃহস্পতিবারই মৃত্যু কিনারায় বিধাননগর কমিশনারেট ৮ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করে৷

শুক্রবার প্রথম দফায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টা জেরা করা হয় মৃতের স্ত্রীকে৷ জিজ্ঞাসাবাদে এদিন বয়ান বদল করেন তিনি৷ ঘটনার পর পরই প্রাথমিক পর্বে তিনি জানিয়েছিলেন, 'আত্মহত্যা করতে পারেন রজত৷ তবে স্বামীর মৃত্যুর কারণ তার জানা নেই৷ ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন রজত৷' তবে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদে রজতবাবুর স্ত্রী জানান, স্বামী আত্মহত্যা করেছেন৷ সেই সময় ঘরে ছিলেন না তিনি৷ স্ত্রীর বয়ান বদলে রহস্য বাড়ে৷

আইনজীবী রজত দে'র ময়না তদন্তেই পরিষ্কার সরু কোনও জিনিষ দিয়ে শ্বাসরোধেই মৃত্যু হয়েছে তার৷ এর আগে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন রজতের বাবা৷ ময়না তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতেই বৃহস্পতিবার রাতে পুত্রবধূ সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ চলে স্ত্রী অনিন্দিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ৷ তার বয়ান বদল ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং৷ তারপরই সিদ্ধান্ত হয় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা৷ যা জানতে পারলেই পরিষ্কার হবে রজতের মৃত্যু রহস্য৷ এর পরই থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মৃত আইনজীবীর স্ত্রী অনিন্দিতাকে৷