শিক্ষা দপ্তরের 'বাংলার শিক্ষা' ওয়েব পোর্টাল, উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

নয়া শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষা দপ্তরের তরফে চালু করা হবে ওয়েব পোর্টাল। প্রাথমিকভাবে এই পোর্টালের নাম রাখা হয়েছে 'বাংলার শিক্ষা'। রাজ্যে প্রথম এই ধরনের পোর্টাল চালু হচ্ছে। এই পোর্টালে জেলার ও গ্রামগঞ্জের প্রতিটি স্কুলের খুঁটিনাটি সব তথ্য তুলে ধরা হবে। নজরদারি চালাবে শিক্ষা সচিব। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে 'বাংলার শিক্ষা' ওয়েব পোর্টাল। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে কলকাতা থেকে সেটি চালু করা হবে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্যালয়ের তরফে রাজ্যজুড়ে দু'দিনের একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মশালায় শিক্ষকদের কাগজে কলমে ওয়েব পোর্টালের কার্যবিবরণীসহ তার ব্যবহার শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও এই কর্মশালা আয়োজিত হয়। এই কর্মশালায় শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার মোট ১০৯ টি স্কুলের শিক্ষকরা যোগ দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার সার্কেল ইন্সপেক্টররা। 

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (শিক্ষা) নিতাইচন্দ্র দাস জানান, এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিকে একটি সিস্টেমের মধ্যে আনা হবে। যেখানে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা, শিক্ষকের সংখ্যা তাদের উপস্থিতি, অনুপস্থিতিসহ পড়ুয়াদের পাশ ফেলের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হবে। এছাড়াও স্কুল ভিত্তিক মিড-ডে মিলের হিসাবসহ স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে আয় ব্যয়ের হিসাবও থাকবে। স্কুল বিল্ডিংয়ের খুটিনাটি বিবরণও থাকবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কাজ শেষ। এবার উদ্বোধনের পালা। উদ্বোধন শেষে প্রতিটি স্কুলেই পৃথকভাবে চালু করা হবে এই ওয়েব পোর্টাল। আপডেট করা হবে তথ্য।

এবিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন বিদ্যালয় পরিদর্শক শাখার উত্তরবঙ্গ কনভেনর অরিন্দম রায় বলেন, "এটি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের খুব ভালো একটি উদ্যোগ। এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে একদিকে যেমন স্কুল শিক্ষকদের ফাঁকিবাজির হার কমবে অন্যদিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মুহূর্তের মধ্যেই যেকোনও স্কুলের তথ্য জানা যাবে। এজন্য আমি রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।" অন্যদিকে, ABTA-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি বলেন, "শিক্ষার মানোন্নয়নে আগে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। তা না করে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ওয়েব পোর্টাল আনছে। এটা গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, পোর্টালটি কার্যকর হলে শিক্ষকদের একাংশ ব্যস্ত থাকবে তথ্যাদি আপডেটের কাজে। অন্যদিকে লাটে উঠবে পড়াশোনা।