চুরি করিনি, বদলে নিজের টাকা ঢেলেছি! দাবি মালিয়ার


তিনি চুরি করেননি। বদলে নিজের চারহাজার কোটি টাকা কিংফিশার এয়ারলাইন্স বাঁচানো বিনিয়োগ করেছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন বিজয় মালিয়া। ব্রিটেন কি তাকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মালিয়া বলেছেন, এ সম্পর্কে রায়দানের আগে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনও কিছু বলতে পারবেন না। বিজয় মালিয়া বলেছেন প্রত্যর্পণ একটি আইনগত প্রক্রিয়া। যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় না।

আদালতের আদেশ যাই হোক না কেন, তাঁর আইন পরামর্শদাতারা ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন মালিয়া।

সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিজয় মালিয়া আরও বলেছেন, ২০১৬ সাল থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি বারবার চেষ্টা করেছেন। তবে এই মিটিয়ে নেওয়ার বিষয়টির সঙ্গে প্রত্যর্পণের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, কর্ণাটক হাইকোর্টের সামনে তিনি প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন। আদালতের নজরদারিতে এই সম্পত্তি বিক্রি করে কর্মী ও পাওনাদারদের বকেয়া মেটানো যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

বিজয় মালিয়া জানিয়েছেন, এখনই এই উদ্যোগ নয়, ২০১৬-র পর থেকে তাঁর হেফাজতে থাকা শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে সিবিআই ও ইডির কাছে সম্পত্তি অ্যাটাচ করার আবেদন করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, একই সম্পত্তির জন্য ব্যাঙ্ক এবং ইডি দুপক্ষই ঝাঁপিয়েছে। মন্তব্য করেছেন তিনি। মালিয়ার দাবি, ব্যাঙ্কগুলিকে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও অফার না গ্রহণ করতে। অন্যদিকে, ইডিকে বলা হয়েছে সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে।

দেশের বিচার ব্যবস্থায় নিজের আস্থার কথাও জানিয়েছেন বিজয় মালিয়া।

মালিয়ার দাবি, দেশ ছেড়ে আসার পর ব্যাঙ্ক এবং রাজনীতিবিদদের কাছে বারবার আবেদন করেছেন বিষয়টির নিষ্পত্তি করার জন্য।

কর্মীদের বকেয়া থাকা মাইনাও তিনি মিটিয়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন।

নিজেকে এনআরআই বলে দাবি করেছেন বিজয় মালিয়া। তাঁর দাবি, ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি এনআরআই।