জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ককে লক্ষ্য করে শুটআউট, নিহত ৩


বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা হামলা চালালে, বিধায়কের সঙ্গী ৩ জন নিহত হয়েছেন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা, জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতিও রয়েছেন। অপর দু-জনের মধ্যে রয়েছেন বিধায়কের ভাড়া-করা গাড়ির চালক ও স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁরাও তৃণমূল করতেন বলে দাবি করা হয়। 

জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় জয়নগরের পেট্রলপাম্পে দাঁড়িয়ে ছিল বিধায়কের গাড়ি। সেই সময় অতর্কিতে হামলা হয়। দুষ্কৃতীরা বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি করার সঙ্গেই বোমা ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু-জনের নাম জানা গিয়েছে। সইফুদ্দিন খান ও সেলিম খান। তবে, ভাড়ার গাড়ির চালকের নাম এখনও জানা যায়নি। সইফুদ্দিন খান ছিলেন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি।

ঘটনার পর বিধায়ক বলেন, দুষ্কৃতীরা আমাকেই টার্গেট করেছিল। ভেবেছিল আমি গাড়িতেই রয়েছি। কিন্তু, আমি ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলাম বলে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। পেট্রলপাম্পে দাঁড় করানো গাড়িতে দলের আরও তিন জন ছিলেন। তিন জনই আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বিশ্বনাথবাবুর বক্তব্য, রোজ সন্ধ্যায় নিয়ম করে তিনি জয়নগরের ওই পেট্রলপাম্প লাগোয়া একটি দোকানে গিয়ে সঙ্গীসাথীদের নিয়ে চা খান। সেখান থেকে পার্টি অফিসে যান। এদিন একটি সভা ছিল বলে, পেট্রলপাম্প অব্দি যাননি। তার আগেই বহডুতে নেমে যান। তাঁর গাড়িটি পেট্রোলপাম্পে গিয়েছিল তেল তুলতে। তখনই গাড়িটিকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। তিনি যে গাড়িতে নেই, হামলাকারীরা তা বুঝতে পারেনি। 

কারা এই হামলা চালাল, তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর মতো বিরোধীদের দাবি, এই খুন রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণতি। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্টীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নস্যাত্‍‌ করে, বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছে। দাবি, তৃণমূল-এসইউসির পরিকল্পিত আক্রমণ।