‘আসল তথ্য জানেন না প্রধানমন্ত্রী’


বেঙ্গালুরু: এতদিন নিজেকে কৃষক দরদী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই প্রচার ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ৷ তাই সরাসরি এবার কৃষকদের ঋণ মকুব নিয়ে বিরোধী পরিচালিত রাজ্যের সমালোচনায় সরব মোদী৷ এই ইস্যতে তাঁর নিশানায় জেডিএস কংগ্রেস জোটের কার্ণাটক৷ পালটা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনাকে দুর্ভাগ্যপূর্ণ বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আসল তথ্য জানেন না মোদী৷

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রচার থামিয়ে লোকসভা সামনে আসতেই কৃষক স্বার্থের কথা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে৷ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে তা আরও বেড়ে যায়৷ বিরোধীরা অভিযোগ ক্ষমতার সিংহভাগ সময়ে চাষিদের কথা ভাবেনি মোদী সরকার৷ গো-বলয়ের ভোটের ও পরাস্থ পদ্ম শিবির৷ তবে বিরোধীদের কৃষকদরদকে খোঁচা দিয়ে শুক্রবার গাজিপুরে মোদী কর্ণাটকের কথা তুলে ধরেন৷ বলেন, ''সরকার গঠনের আগে লক্ষাধিক কৃষকের ঋণ মকুবের কথা বলেছিল কুমারস্বামী সরকার৷ কিন্তি বাস্তবে ৮০০-এর মতো কৃষক ঋণ মকুবের সুবিধা পেয়েছেন৷''

ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন বিদোধী জোটের অন্যতম দলের সদস্য তথা কর্মাটকের মুখ্যমন্ত্রী রুমারস্বামী৷ তাঁর দাবি প্রকৃত তথ্য নেই কুমারস্বামীর কাছে৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ রবিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''মোদী নোংরা ঠাট্টা করছেন৷ সরকারী পরিচয়পত্র মিলিয়ে সঠির পদ্ধতিতে উপযুক্ত কৃষকদের ঋণ মকুব করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই সাড়ে তিনশো কোটি টাকা ব্যয় রাজ্যের ৬০ হাজার কৃষক উপকৃত৷ আগামী সপ্তাহেই আরও এক লক্ষ কৃষক উপকার পাবেন৷'' কর্ণাটক সরকারের তালিকানুযাই রাজ্যের ২১ লক্ষ কৃষকের মধ্যে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ ঋণ মকুবের জন্য দরখাস্ত করেছেন৷

প্রধানমন্ত্রীর ঠাট্টাতামাশার জের লোকসভা ভোটে বিজেপি টের পাবে বলে মনে করেন জেডিএস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী৷ তিনি বলেন, ''কৃষকদের অবহেলার ফল কি গো-বলয়ের ভোটেই বুঝেছেন মোদী-শাহ জুটি৷ আর বেশী দূরে নেই৷ সামনেই লোকসভা৷ কৃষকদের নিয়ে তামাসার ফল দেখবে গেরুয়া শিবির৷''

কৃষকই এখন মাথা ব্যাথা পদ্ম শিবিরের কাছে৷ ঘোষণা করা হয়েচে নানা প্রকল্পের৷ কিন্তু তাতেও যে স্বস্তি মিলবে না, মোদীর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে৷