তথ্য দিলেও ওরা পড়েনি: ফেসবুক


তথ্য-চুরির অভিযোগের ব্যাখ্যা দিল ফেসবুক। এ দিন একটি ব্লগে তারা দাবি করল, স্পটিফাই, নেটফ্লিক্স, দ্য রয়্যাল ব্যাঙ্ক অব কানাডা-র মতো বেশ কিছু সংস্থাকে তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য দেখার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সংস্থাগুলি তথ্য-চুরি করেনি!

মঙ্গলবার একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকে দাবি করা হয়েছিল, ব্যক্তিগত মেসেজ ও যোগাযোগের তালিকাও মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়ন, নেটফ্লিক্সের মতো ১৫০টিরও বেশি সংস্থাকে অকাতরে বিলিয়েছে ফেসবুক। আজ সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফেসবুক জানিয়েছে, উল্লিখিত সংস্থাগুলিকে তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য পড়া, তাদের মেসেজ করা কিংবা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার ক্ষমতাও দিয়েছিল।

সবটাই তারা করেছিল ব্যবহারকারীদের স্বার্থে। যাতে তৃতীয় পক্ষের (সংশ্লিষ্ট সংস্থা) মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক ভাল হয়। যদিও ওই ব্লগে দাবি করা হয়েছে— ''কোনও তৃতীয় পক্ষ আপনার ব্যক্তিগত মেসেজ পড়েনি। অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনও মেসেজও করেনি।'' অর্থাৎ কি না, ফেসবুকের দাবি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা পড়েনি। 

বুধবার ফেসবুকের শেয়ারের দাম ৭ শতাংশ পড়ে যাওয়ার পরেই ব্লগে এই ব্যাখ্যা। শোনা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে শেয়ার বাজারে এত খারাপ দিন দেখেনি তারা। আজই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি-র এক শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী। কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসিনেরও অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য-চুরি করার অনুমতি দিয়েছে ফেসবুক। মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ দিন বলা হয়েছে, ''আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।

অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বিষযটি আলোচনা করে দেখা হবে।'' ওই মামলার পাশাপাশি, 'সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন', 'দ্য ফেডারেল ট্রেড কমিশন' এবং 'ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস' ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডে ফেসবুককে ৫ লক্ষ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। ফেসবুকের নিরাপত্তা পলিসি খতিয়ে দেখছে আইরিশ তথ্য সুরক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাদের রিপোর্ট প্রকাশ হলে আরও বড় বিপদে পড়বে ফেসবুক, আশঙ্কা নানা মহলে।