৩৭০ ফুট জলভর্তি খনিতে পক্ষকাল আটকে ১৫ শ্রমিক, যুদ্ধ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর


দু-সপ্তাহ কেটে গেলেও মেঘালয়ের খনিতে আটকে পড়া ১৫ জন শ্রমিকের হদিশ মিলল না। প্রায় পুরো খাদালই ভরে গিয়েছে জলে। শ্রমিকদের উদ্ধারকার্যা তাই আজও তিমিরে ঢাকা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও কোনও সুরাহা করতে পারেনিন। ইতিমধ্যেই আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় শতাঝিক সদস্য ৩৭০ ফুট গভীর খনিতে নেমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। কিন্তু ওই ৩৭০ ফুট খনির অন্তত ২৫০ ফুট জলভর্তি হয়ে গিয়েছে। তার উপর প্রতিদিনই চলছে বৃষ্টি, নতুন করে জল ঢুকছে। ক্রমশই ১৫ জন খনি শ্রমিকের উদ্ধারের সম্ভাবনা কমছে। তবে চেষ্টার কলুর করছে না প্রশাসন।

পুলিশ-প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোল ইন্ডিয়া থেকে বেশি হর্স পাওয়ারের পাম্প চালিয়ে জল কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। অন্তত ২০০টি পাম্প চালালে ওই জল বের করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ চলছে। এই উদ্ধারকার্যকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর পূর্ব জয়ন্তিয়ার জঙ্গলের ভিতরে অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলতে নেমেছিলেন ১৫ জন গ্রামবাসী। এরপরই খনিতে জল ঢুকতে শুরু করে। সেই জলে আটকে পড়েন তাঁরা। আর বেরতে পারেননি তাঁরা। ওই খনির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছেন লিটিয়েন নদী। পাশেই নদী বয়ে যাওয়ায় বিপত্তি আরও চরমে পৌঁছয়।