কেন্দ্রীয় কর্মীর বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর সোনা, টাকা


এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারির বাড়িতে হানা দিয়ে ২০ লাখ টাকারও বেশি গয়না, নগদ ৫ লাখ টাকা–সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। শুক্রবার দিনভর তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চলে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর অফিস–সহ আরও কয়েকটি জায়গায়। দীর্ঘ তল্লাশি ও জেরার পর টাকা, গয়না ছাড়াও তাঁর ১৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন ইডি–র গোয়েন্দারা। তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি জমির দলিলও মিলেছে। স্নেহাশিস কর নামে ওই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইডি–র কাছে দুর্নীতির কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। নিয়মবহির্ভূত আয়ের  অভিযোগও এসেছে। তল্লাশি ও জেরার পর স্নেহাশিসকে আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি থেকে গয়না এবং নগদ টাকা উদ্ধার করার বিষয়টি নিয়ে একটি মামলাও শুরু হয়েছে। পেশাগতভাবে স্নেহাশিস 'সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট হেল্‌থ স্কিম'–এর আপার ডিভিশন ক্লার্ক। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি–র আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হানা দেন। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জেরা এবং সরেজমিন তল্লাশির পর তাঁকে আটক করে ইডি–র দপ্তরে আনা হয়। জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে স্নেহাশিস কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেন। পরে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক এবং আপার ডিভিশন ক্লার্ক হন। এত নিচুতলা থেকে চাকরি শুরু করে কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন, এত টাকা তিনি কী করে এবং কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে তাঁকে টানা জেরা করা হচ্ছে। স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যপ্রকল্প থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের নাম বাদ দিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর ইডি তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে। তাঁর ১৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন, আরও কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা সম্পত্তি আছে কিনা, তা জানতেও স্নেহাশিসকে আটক করে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন গোয়েন্দারা।