ভারতীয় সেনার পোশাক পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাক সেনার! নওগামে গুলিতে হত দুই

কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় বড়সড় অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করল ভারতীয় সেনা।

কারও গায়ে পাক সেনার পোশাক। কেউ আবার ভারতীয় সেনারইউনিফর্মে। এভাবেই ভারতীয় সেনাকে বোকা বানিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পাক সেনার একটি বিশেষ দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিএসএফ এবং সেনার গুলিতে সেই দলের দু'জনের মৃত্যু হল কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে। তারা পাক রেঞ্জার্সের সদস্য বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনা কর্তারা। ব্যাপক গুলিযুদ্ধের মুখে পড়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। সেনার অনুমান, বর্ষবরণের উৎসবে বড়সড় হামলার ছক ছিল ওই দলটির।

ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে নওগাম সেক্টরে পাক সীমান্তের ওপার থেকে একটি দল ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের কারও পরনে ভারতীয় সেনার পুরনো ইউনিফর্ম, বিএসএফ-এর এবং পাক সেনার ইউনিফর্ম থাকায় প্রথমে কিছুটা ধন্দে পড়ে যান সীমান্ত কর্তব্যরত জওয়ানরা। গভীর জঙ্গল পেরিয়ে তারা যখন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে, তখন তাদের কভার করতে পাক সেনাও ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তখনই সেনা জওয়ানরা বুঝতে পারেন, ধোকা দিতেই ইউনিফর্ম পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তার পরই গুলি চালানজওয়ানরা। শুরু হয় গুলি বিনিময়।

সেনা সূত্রে খবর, প্রায় সারা রাত দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। ভোরের আলো ফুটতেই ওই এলাকায় গভীর জঙ্গলে তল্লাশি শুরু হয়। তখনই উদ্ধার হয় দু'জনের মৃতদেহ। সেনার অনুমান, পাক সেনার গোলাবর্ষণ, অন্ধকার এবং কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বাকিরা। প্রাথমিক তদন্তে ভারতীয় সেনার অনুমান, যে দু'জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান।

তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কার্যত অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করেছেন সেনা জওয়ানরা। তার মধ্যে এমন অস্ত্রশস্ত্রও মিলেছে, যেগুলি মূলত যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়। এ থেকেই সেনা কর্তারা মনে করছেন, নওগাম সেক্টরে ব্যাপক নাশকতা চালানোর ছক ছিল এই দলটির। সেনার মুখপাত্র বলেন, ওই দু'জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পাক সেনাকে অনুরোধ জানানো হবে।