নিউটাউনে মধুচক্রের হদিশ, ধৃত ৩ তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী-সহ ১১

পুলিশের দাবি, এক বছরের বেশি সময় ধরে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে রমরমিয়ে দেহব্যবসা চলছে।

কনসালটেন্সি অফিসের নামে প্রায় এক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছ'জন তরুণী-সহ মোট ১১ জনকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউনের ডিএফ ব্লকের একটি আবাসনের চারতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। একটি ব্যবসায়িক সংস্থার কনসালটেন্সির নাম করে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তী কালে এলাকার বাসিন্দাদের নজর আসে যে, ওই ফ্ল্যাটে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনের যাতায়াত। সেই সঙ্গে মহিলাদের যাতায়াতও রয়েছে। তাতেই স্থানীয়দের মনে সন্দেহ জাগে যে ওই ফ্ল্যাটে কোনও বেআইনি কাজকর্ম চলছে। গোপন সূত্র মারফত সে খবর নিউটাউন থানার পুলিশের কাছে পৌঁছয়।

তদন্তে নেমে প্রথম দিকে এ বিষয়ে সে রকম কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারছিল না পুলিশ। কারণ, আবাসনের অধিকাংশ ফ্ল্যাটই ফাঁকা। ফলে ওই আবাসন থেকে পুলিশ কোনও তথ্য পাচ্ছিল না। শেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ।

তদন্তকারীদের দাবি, সে সময় ফ্ল্যাটে ছ'জন তরুণী ছিলেন। এবং তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাঁচ যুবক। পুলিশের দাবি, জেরার পর জানা গিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই ফ্ল্যাটে রমরমিয়ে দেহব্যবসা চলছে। মূলত বাগুইআটি, কেষ্টপুর এলাকার তরুণীরা ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে ছ'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীদের সঙ্গে ধৃত পাঁচ যুবকের মধ্যে তিন জন তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোটা চক্রের চাঁই এখনও অধরা। দেহব্যবসার জন্য ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল সে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।