হোয়াটসঅ্যাপে এই কাজগুলি করলে জেল খাটতে হতে পারে আপনাকে


ভুয়ো খবর ছড়াতে দুষ্কৃতিরা সবার আগে হোয়াটসঅ্যাপের স্বরণাপন্ন হয়। এর প্রধান কারন হোয়াটসঅ্যাপের বিপুল জনপ্রিয়তা। সারা বিশ্বে মানুষের যোগাযোগে বিপ্লব নিয়ে এলেও ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে খুব সহজেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে। হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ এনক্রিপ্ট থাকে, অর্থাৎ কোন মেসেজ যে পাঠাচ্ছেন আর যাকে পাঠাচ্ছেন এই দুই ব্যাক্তি ছাড়া কোন তৃতীয় ব্যাক্তি পড়তে পারেন না।

তবে গ্রাহক কার সাথে কথা বলেছেন সেই তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানতে পারে পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগ। এছাড়াও জানা যায় কোথা থেকে মেসেজ করেছেন অথবা ফোন নম্বর ও স্মার্টফোনের তথ্য। এছাড়াও কখন কতক্ষণ কোন ব্যাক্তির সাথে কথা বলছে তাও জানতে পারে পুলিশ। তাই হোয়াটসঅ্যাপে আইন ভঙ্গ করল গ্রাপ্তার হতে পারেন। ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের আধীনে আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ বা গোয়েন্দা দপ্তর। তাই হোয়াটসঅ্যাপে এই কাজগুলি না করাই ভালো।

১। অন্য সদস্যদের সাথে বাজে ব্যবহার করলে গ্রেপ্তার হবে পারেন গ্রুপ অ্যাডমিন।

২। যে কোন রকমের যৌন ব্যবসা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে করলে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৩। জনপ্রিয় ব্যাক্তির বিকৃত ছবি হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করলে গ্রপ্তার হতে পারেন।

৪। মহিলাকে হোয়াটসঅ্যাপে হেনস্থা করলে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৫। অন্য ব্যাক্তির নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুললে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৬। অন্য ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণার বার্তা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ালে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৭। সংবেদলশীল বিষয়ে ভুল খবর ছড়ালে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৮। নিষিদ্ধ মাদক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করলে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

৯। বেআইনিভাবে তোলা অন্য ব্যাক্তির ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করলে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

১০। হোয়াটসঅ্যাপে পর্ণগ্রাফি ছড়ালে গ্রেপ্তার হতে পারেন।