নীল আকাশের নীচে মৃণাল সেন আর নেই (১৯২৩-২০১৮)


মৃণাল সেন।

প্রয়াত হলেন প্রবাদপ্রতিম চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ভবানীপুরে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মৃণাল সেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। মৃণালের প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একটা যুগের অবসান হল। বাংলা সিনেমার স্বর্ণ যুগের ট্রায়ো সত্যজিত-ঋত্বিক-মৃণালের দু'জন চলে গিয়েছিলেন আগেই। শেষ প্রদীপ নিভে গেল রবিবার।

১৪ মে, ১৯২৩ বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম মৃণালের। হাইস্কুলের পড়া শেষ করে কলকাতায় আসেন। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কখনও পার্টির সদস্য হননি।

১৯৫৫-এ 'রাত ভোর'-এর মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করেন মৃণাল। তাঁর পরের ছবি 'নীল আকাশের নীচে'। 'বাইশে শ্রাবণ'-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি মেলে। তবে ১৯৬৯-এ মুক্তিপ্রাপ্ত 'ভুবন সোম'-এর মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি আসে। পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে।

মৃণালের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করেন, 'বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।'

২০১৭-এ প্রয়াত হন মৃণালের স্ত্রী গীতা। মৃণাল রেখে গেলেন পুত্র কুণালকে। তিনি আমেরিকায় থাকেন। পরিবার সূত্রে খবর, কুণাল আসবেন আগামিকাল। ততক্ষণ পর্যন্ত পিস হাভেনে রাখা থাকবে প্রয়াত পরিচালকে দেহ।