ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'পেথাই', শীতে ভাসাতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়
দক্ষিণ পশ্চিম এবং সংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় পেথাই-এ পরিণত হয়েছে। যা উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। ঘন্টায় বেগ ১৭ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান
শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ছিল শ্রীলঙ্গার ত্রিঙ্কোমালি থেকে ৪৪০ কিমি পূর্ব-উত্তর পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ৫৫০ কিমি দক্ষিণ পূর্বে। অন্ধ্রপ্রদেশের ৭২০ কিমি দক্ষিণ -দক্ষিণপূর্বে অবস্থান ছিল সেটির। আগামী ২৪ ঘন্টায় সেটি অতি গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা
উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ১৭ ডিসেম্বর বিকেলের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কাঁকিনাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
প্রবল বৃষ্টির সতর্কবার্তা
ঘূর্ণিঝড় পেথাই-এর প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু-একটি জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভানা রয়েছে ১৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার। এছাড়াও মঙ্গলবারঅর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দু-একটি জায়গায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা
এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ১৬ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তাল থাকবে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে উল্লিখিত দিলগুলিতে।
বন্দরে সতর্কবার্তা
হুগলি বন্দরে সতর্কতামূলক সিগন্যাল ওয়ান দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরদ্বীপে বিভাগীত সিগন্যাল চার দেখাতে বলা হয়েছে।