অসমে সবথেকে বড় রেলব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী: ১০টি তথ্য


অসমে সবথেকে বড় রেলরোড ব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি দেশের সবথেকে বড় রেলব্রিজ। এর শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলব্রিজ তৈরি ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর.ডিব্রুগড় এবং ধেমাচিকে যুক্ত করবে। এই ব্রিজ তৈরির ফলে ডিব্রুগড় এবং ধেমাচির মধ্যে 170 কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হবে না। এছাড়াও সামরিক দিক থেকেও এই ব্রিজের গুরুত্ব যথেষ্ঠ। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে যেমন ট্যাঙ্ক যাতায়াত করতে পারবে, তেমনই যুদ্ধবিমানও নামতে পারবে এখানে।


জেনে নিন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 সম্পূর্ণ ঝালাইয়ের সাহায্যে তৈরি এই রেলরোড ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে. ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে রেলরোড ব্রিজটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম হবে
 
 কয়েক বছর আটকে থাকার পর ২০০২ সালে নির্মাণ কাজের সূচনা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অধুনা প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। আজ ব্রিজের  উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
 
উদ্বোধনের পরই সেতুটি খুলে  দেওয়া হবে। গোটা ব্যাপারটাই অনেকর কাছে  প্রত্যাশা পূরণের মতো।
 
 এই ব্রিজের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সূচনা করবেন তিনসুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের। যা সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে।
 
৪.৯ কিলোমিটার ব্রিজটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ হয়েছে ৫,৯০০ কোটি টাকা।ব্রিজটি তৈরির সময় বাজেট ছিল ৩,২০০ কোটি টাকা। এবং, প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল ব্রিজটির মোট দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে চার কিলোমিটার।
 
এই ব্রিজটি এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেলরোড ব্রিজ। যার জীবনসীমা অন্তত ১২০ বছর।
 
ব্রিজটির নীচের স্তরে দু'লাইনের রেল-ট্র্যাক রয়েছে। একদম উপরের স্তরে রয়েছে তিন লেনের রাস্তা। যা দিল্লি ও ডিব্রুগড়ের মধ্যে রেলপথে যাত্রার সময়সীমা প্রায় তিনঘন্টা কমিয়ে দেবে।
 
 ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই ব্রিজটি নির্মাণের কাজ চলত বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান মুখ্য স্থপতি মহিন্দর সিং।
 
এই ব্রিজ তৈরির ফলে উপকৃত হবেন আনজাউ,চাংলাং, লোহিত,  দিব্যাঙ্গ নিম্ন উপত্যকা, দিব্যাঙ্গ উপত্যকার মানুষরা. এছাড়াও অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন
 
অরুণাচলের ইন্দো-চিন সীমান্তের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই ব্রিজটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। এই ব্রিজ এতটাই মজবুত যে এর ওপর দিয়ে খুব সহজেই ট্যাঙ্কার যাতায়াত করতে পারবে। অবতরণ করানো যাবে যুদ্ধবিমানও।