শত্রুঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল সুখোই, এফ ১৫


শত্রুপক্ষের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা করতে ছুটেছে ১৪টি যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই ৩০এমকেআই-এর সঙ্গে শত্রু-শিবির তছনছ করে দিতে এগোচ্ছে মার্কিন এফ ১৫। ধেয়ে এল ভারতীয় বায়ুসেনার জাগুয়ার। সুখোই, এফ ১৫-এর নজর এড়িয়ে উল্টোদিক থেকে বিধ্বংসী জাগুয়ারকে হঠাতে তাড়া করতে শুরু করল মিরাজ।

ভাবছেন, এ কেমন লড়াই? যেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে শত্রুপক্ষ নিধনে মেতেছে আমেরিকাও? কেনই বা ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান লড়াই করছে, তাদেরই এক যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে?

আদতে মহড়া। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দু'দেশের বায়ুসেনার সেরা যুদ্ধবিমানগুলি কী ভাবে পাশাপাশি থেকে লড়বে তারই মহড়া চলছে রাজ্যের দুই বায়ুসেনা ঘাঁটি, কলাইকুন্ডা এবং পানাগড়ে। 

ভারত-আমেরিকা প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও পোক্ত করতে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে 'কোপইন্ডিয়া ২০১৮'। যেখানে ভারতের সেরা তিন যুদ্ধবিমান সুখোই ৩০ এমকেআই, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০-এর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহড়ায় সামিল মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ ১৫। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় পক্ষের মহড়া অধিকর্তা এয়ার কোমোডর জেএস মান বলেন, 'দু'দেশের বায়ুসেনা কর্মীদের যৌথ মহড়া আমাদের কার্যক্ষমতা তো বাড়াবেই, পাশাপাশি একে অন্যের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দেবে এই যৌথ মহড়া।' 

কয়েকদিন আগেও মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক ডেপ্লয়মেন্ট সামলে এসেছেন মার্কিন বায়ুসেনার ৬৭ স্কোয়াড্রনের কম্যান্ডিং অফিসার, লেফ্টন্যান্ট কর্নেল জন ডিলিয়ন। তাঁর নেতৃত্বে থাকা ১২টি এফ ১৫ যুদ্ধবিমান জাপানের মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকে উড়ে এসেছে কলাইকুন্ডায়। যৌথ মহড়া সম্পর্কে কথা শুরু হতেই উচ্ছ্বসিত মার্কিন বায়ুসেনা আধিকারিক জানান, 'ভারতীয় বায়ুসেনার পেশাদারিত্ব দেখে আমি মুগ্ধ। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয়দের ট্যাকটিক্সও সাহায্য করবে আমাদের।' 

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করতে ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল কোপ ইন্ডিয়া। তার পরের বছর কলাইকুন্ডায় দ্বিতীয়বার এই যৌথ মহড়া হলেও তার পর ১৩ বছর ভারতের মাটিতে কোনও যৌথমহড়ায় অংশগ্রহণ করেনি মার্কিন বায়ুসেনা। কলাইকুন্ডার বায়ুসেনা ঘাঁটির প্রধান এয়ার কোমোডর এস অ্যান্টনি জানান, 'সে কারণে এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' আমেরিকা-চিন সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোপ-ইন্ডিয়ার মতো যুদ্ধমহড়ার জন্য চিন সীমান্তর নিকটবর্তী একটি বায়ুসেনা ছাউনি বেছে নেওয়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

সোমবার থেকে যোধপুরে শুরু হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা এবং রুশ বায়ুসেনার যৌথ মহড়া এভিআইএ ইন্দ্র। একই সময়ে দেশের মাটিতে দুই পরস্পর-বিরোধী শক্তির সঙ্গে যৌথ মহড়ায় সামিল হওয়াও তাৎপর্যপূর্ণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।