প্রযুক্তি আঁতুরঘরে 'অস্পৃশ্যতা'! চাঞ্চল্য আইআইটি-মাদ্রাজ-এ


হস্টেলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভাজন। বৈষম্য তৈরি অভিযোগ মাদ্রাজ আইআইটিতে। আমিষ এবং নিরামিষ ভোজীদের মধ্যে এই বিভাজন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মেস হলে আমিষ এবং নিরামিষ ভোজী ছাত্রদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ, আলাদা ধোয়ার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ ছাত্ররা এই ঘটনাকে নতুন ধরনের পৃথকীকরণ বলে কটাক্ষ করেছেন। ঘটনাটিকে আধুনিক অস্পৃশ্যতা বলেও বর্ণনা করেছে ছাত্র একাংশ। বৃহস্পতিবার থেকে  হিমালয়া মেসে নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ছাত্রদের একাংশ আবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সামিল হয়েছেন।

আম্বেদকর স্টাডি সার্কেলের এক ছাত্রের অভিযোগ, মেসে পোস্টার দিয়ে ঢোকা-বেরনো কিংবা হাত ধোয়ার জায়গা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। নিরামিষ  এবং আমিষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভাজন রেখা টানা হয়েছে।

একই মেসে নিরামিষ এবং আমিষ খাবার দেওয়া হলেও, একই টেবিলে বসে নিরামিষ এবং আমিষ খাওয়া যাবে না বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

হস্টেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, নতুন সিস্টেম চালু করা হয় হস্টেল মনিটরিং কমিটির নির্দেশের জেরে। এই সময় ছুটি চলছে। শুধু মাত্র দুটি মেস চালু রয়েছে।

এর আগে আলাদা নিরামিষ মেসের দাবি ওঠার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভোটের কথা চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবল বিরোধিতার কারণে কর্তৃপক্ষ সেই চিন্তা  ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।

অধ্যাপকদের তরফ থেকেও ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। একশ্রেণির ছাত্রছাত্রীর পুরো নিরামিষ মেসের দাবি প্রসঙ্গে ছাত্র ও অধ্যাপকদের একাংশ বলছেন, দেশে এই দাবি করলে, ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক সেমিনার কিংবা ওয়ার্কশপে যোগ দেবে কী ভাবে। বিষয়টি ছাত্রদের একসঙ্গে থাকার চিন্তার পরিপন্থী বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।