হাইকোর্টের নির্দেশে জট কাটল নবম ও দশমে বাংলার শিক্ষক নিয়োগে


কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে জট কাটল ২০১৬-র নবম ও দশম শ্রেণির বাংলায় শিক্ষক নিয়োগের৷ উঠে গেল নিয়োগ পক্রিয়ার উপর অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশে৷ বাংলা ভাষায় তেরোশো আটাত্তর জনকে অবিলম্বে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পক্রিয়া আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চালু করতে বলা হয়েছে৷

এসএসসির নবম ও দশমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযোগে শিক্ষক নিয়োগ পক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে চলতি বছরের জুন মাসে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন নিপেশ মাঝি৷ নিপেশ নিজেও প্রতিবন্ধী তালিকায় এক জন প্রার্থী৷ প্রথম শুনানির পরই বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবছরের ১লা আগস্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপরে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন৷

সেই স্থগিতাদেশকে পুরর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন জানান বাংলার এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বর্ণালী চক্রবর্তী সহ ১৫ জন চাকুরী প্রার্থী। আবেদনে তারা জানায়, বাংলা ভাষা ছাড়া বাকি সব বিষয়ে চাকরি প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। তারাই শুধু চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ তাই অবিলম্বে আদালত নিয়োগে স্থগিতাদেশের রায়ে পুনর্বিবেচনা করুক।

সোমবার মামলা শুনানি চলাকালীন স্বর্ণালী বিশ্বাসের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, 'যার মামলার ভিত্তিতে এই অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে সেই মামলাকরীই নাম তালিকার ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে। তিনি কখনওই শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন করতে পারেন না৷

আইনজীবী আশিসকুমার চৌধরীর বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আদালত পূর্বে যে রায় দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অবিলম্বে নবম ও দশমে বাংলা ভাষা বিষয়ে ১৩৭৮ জন চাকুরিপ্রার্থীকে দিয়ে (শারীরিক প্রতিবন্ধীদের তিনটে শূন্য পদ ফাঁকা রেখে) শূন্য পদ পূরণ করতে হবে৷