প্রায় অমিল অ্যাপ ক্যাব, রাস্তায় নেমে গুন্ডামি চালক-মালিকদের


হুজ্জুতি অ্যাপ ক্যাব চালক-মালিকদের।
এত দিন রাস্তায় অ্যাপ নির্ভর ক্যাব অমিল ছিল। এ বার সেই অ্যাপ ক্যাব মালিক এবং চালকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে গুন্ডামির অভিযোগ উঠল।
বৃহস্পতিবার কসবার পরিবহণ ভবনে অ্যাপ নির্ভর ক্যাব নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক ভেস্তে যেতেই রাস্তায় নেমে পড়েন শতাধিক অ্যাপ ক্যাব চালক এবং মালিক।রাস্তায় বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব দাঁড় করিয়ে তাঁরা যাত্রীদের নামিয়ে দিতে থাকেন। গাড়ির উইন্ড শিল্ডে চড়চাপড় মারতে থাকেন। কোনও কোনও গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তেও তাঁদের।

অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি অকারণে চালকদের সাসপেন্ড করছে। এই অভিযোগ তুলে পরিবহণ দফতরের হস্তক্ষেপ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের কাছে দরবার করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড। এ দিন শহরের দু'টি বড় অ্যাপ ক্যাব সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল পরিবহণে ভবনে। কিন্তু, সেখানে একটি অ্যাব ক্যাব সংস্থার কোনও প্রতিনিধি না থাকায় এ দিনের বৈঠক ভেস্তে যায়। জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক হয়।

পরিবহণ ভবনে তখন অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক অ্যাপ ক্যাব চালক এবং মালিক। ১০ তারিখের বৈঠকের কথা শুনেই উত্তেজিত হয়ে তাঁরা রাস্তায় নেমে পড়েন। চলন্ত অ্যাপ ক্যাব আটকাতে থাকেন তাঁরা। চলে গুন্ডামি। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ দিন সকালেও ভিআইপি রোডের উপর একই রকম ভাবে অ্যাপ ক্যাব আটকাতে দেখা যায় চালক-মালিকদের একাংশকে। সেখানে আটজনকে গ্রেফতারও করে লেকটাউন থানার পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ঠিক একই কারণে অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘট ডেকেছিলেন চালক-মালিকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থাগুলি বিনা দোষে চালকদের আইডি ক্যানসেল করে দিচ্ছে। অর্থাৎ সেই চালককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি ছিল ভাড়া বৃদ্ধিও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"এদিনের বৈঠক ভেস্তে যেতেই কয়েক জন উত্তেজিত হয়ে একটু গন্ডগোল করে ফেলেছেন। আমরা পুলিশের সাহায্যে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করেছি।"

মালিক চালকদের একাংশ এ দিনই ধর্মঘটে যাওয়ার কথা বললেও, ইন্দ্রনীল বলেন,"আমরা তৃণমূল ভবনে যাচ্ছি আমাদের সভাপতি মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলতে। সেখানে কথা বলে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।" এর আগে মদন মিত্রের অনুরোধেই ধর্মঘটে যাওয়া ক্যাব মালিক-চালকদের বড় অংশই ধর্মঘট থেকে সরে আসেন। কলকাতা শহরে প্রায় পঁচিশ হাজার অ্যাপ ক্যাব চলে। মূলত দু'টি অ্যাব ক্যাব সংস্থাই কলকাতার বাজারে রয়েছে।