কানে হেডফোন, অসতর্ক দুই তরুণীকে প্রাণে বাঁচিয়ে মরণাপন্ন যুবক


বারাকপুর: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসতর্ক দুই তরুণীর প্রাণ বাঁচিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ট্রেনের ধাক্কায় জখম এক যুবক। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন ২৩ নম্বর রেল গেট। জখম ওই যুবকের নাম বিজয় সরকার। নৈহাটি বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা তিনি৷

জানা গিয়েছে, অসতর্কভাবে কানে হেডফোন লাগিয়ে ট্রেন লাইন পার হচ্ছিল দুই তরুণী৷ হঠাৎ ট্রেন এসে যাওয়ায় ওই দুই তরুণীকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচন বিজয়। ট্রেনের ধাক্কায় মারাত্মক জখম হন তিনি। গত মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের রেলকর্মীদের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে রেল অবরোধ করা হল শিয়ালদহ মেন শাখার উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগর রেল স্টেশনে। কিছুক্ষণের জন্য রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় নিত্য যাত্রীরা। পরে রেল পুলিশ এসে নিত্যযাত্রীদের অবরোধ তুলে দেয়।
 
নিত্যযাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই তরুণী শ্যামনগর ফিডার রোড দিয়ে কানে হেডফোনে কথা বলতে বলতে শ্যামনগর ২৩ নম্বর রেল গেট বন্ধ অবস্থায় গেটের নিচে দিয়ে পার হতে যায়। সেই সময় আপ ৩ নম্বর লাইনে থ্রু ধনধান্য এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। ওই দুই তরুণীর অসতর্কতা দেখে তাদের বাঁচাতে রেলওয়ে ট্রাকে ঝাঁপ দেয় প্রত্যক্ষদর্শী যুবক বিজয় সরকার। ওই দুই তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন লাইন থেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের দুজনের প্রাণ বাঁচায় বিজয়। তবে ওই ট্রেনের ধাক্কায় মারাত্মক জখম হন তিনি। ঘটনার পর প্রাণে বাঁচলেও ওই দুই তরুণী ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

এদিকে জখম যুবক বিজয় দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই রেললাইনের পাশে পড়ে থাকে। নিত্যযাত্রীরা রেল কর্মীদের খবর দেয় যাতে দ্রুত জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই রেল গেটের গেট ম্যান বিষয়টা গুরুত্ব দেয়নি৷ এই অভিযোগ তুলে নিত্যযাত্রীরা বুকুয়া দসাদ নামে ওই রেল কর্মীকে তার ঘরে ঢুকে মারধর করে। পরে রেল পুলিশ এসে জখম যুবক বিজয় সরকারকে রেলওয়ে ট্রাকের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই যুবক। রেল পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।