‘দেশবাসীকে ভুল বুঝিয়েছেন রাহুল’, রাফাল নিয়ে ৭০ সাংবাদিক বৈঠক করে বোঝাবে বিজেপি

সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

রাফাল রায়ে 'ব্যাকরণের ভুল' হতে পারে। তা নিয়ে সরকারের অস্বস্তি কাটাতে রায় সংশোধনের আর্জি হতে পারে। কিন্তু পাঁচ রাজ্যে ভোটে বিপর্যয়ের ক্ষত মেরামতিতে রাফালকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি। সেই অস্ত্রে আরও শান দিতে এবার এক দিনে ৭০টি সাংবাদিক বৈঠকের ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধী  'ষড়যন্ত্র' করেছেন বলে প্রচার করা হবে ওই সাংবাদিক সম্মেলনগুলিতে।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ভোটে কংগ্রেসের সাফল্য তুলে ধরতে এবং রাফাল নিয়ে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে কংগ্রেস ১০০টি সাংবাদিক সম্মেলনের ঘোষণা করেছিল। তার জন্য সারা দেশে ৫০ জন দলের নেতাকেও নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা এক দিনে ছিল না। কিন্তু রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসতেই এবার বিজেপি এক দিনে ৭০টি সাংবাদিক বৈঠকের ঘোষণা করেছে।

দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, রাফাল নিয়ে রাহুলকে পাল্টা চাপে ফেলতে আগামিকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন শহরে এই সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, রাফাল নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্র' করেছেন রাহুল গাঁধী। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে কংগ্রেস।

শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, রাফাল চুক্তিতে কোনও অসঙ্গতি নেই। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া, দাম নির্ধারণ বা অফসেট পার্টনার ঠিক করা— কোনও কিছুর মধ্যেই ভুলত্রুটি খুঁজে পায়নি সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই এ নিয়ে আসরে নামে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-ও সাংবাদিক সম্মলেন করে রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ শানাতে থাকেন।

কিন্তু রায় ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর নতুন করে আসরে নামনে রাহুলও। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ লিখেছে, ''রাফালের দাম কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-কে জানানো হয়েছে। সিএজি-র রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। ওই রিপোর্টের একটি অংশ সংসদে এবং প্রকাশ্যে জানানো হয়েছে।''

এই নিয়েই সরকারকে চেপে ধরে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধী সাফ জানিয়ে দেন, পিএসি চেয়ারম্যান মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছে রাফাল সংক্রান্ত কোনও নথি আসেনি। হুঁশিয়ারি দেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সিএজি-কে জানাতে হবে, ওই রিপোর্ট কবে সংসদে জমা পড়ল। কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ তোলেন, আদালতকে ভুল তথ্য দিয়েছে কেন্দ্র।