সাগরমেলায় নজরদারিতে ১২ ড্রোন, ৭০০ সিসিটিভি, ভেসেলে জিপিএস


দেখে দেখে শেখা। সাগরের সমুদ্রতটে বালি দিয়ে বিশ্ব বাংলার লোগো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফুটিয়ে তুললেন সাগরের দেবতোষ দাস। ঝিনুক ও শঙ্খের দোকান রয়েছে তাঁর। বললেন, '‌আমার কৌতূহল ছিল বালি দিয়ে কিছু করার। পুরীর সুদর্শন পট্টনায়কের শিষ্য সুরজিৎ মণ্ডল এখানে এসেছিলেন। উনি বালি দিয়ে কাজ করছিলেন। সেটা দেখেছিলাম। এরপর বন্ধুদের বলি, বালি দিয়ে বিশ্ব বাংলার লোগো আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি করলে কেমন হয়। তারা বলল, খুব ভাল। চেষ্টা করে দেখো না।' আরও বললেন, '‌বন্ধুরাই বালি তুলে দিল। বহু তীর্থযাত্রী এখানে পয়সা দেন। কিন্তু সেই পয়সায় আমি গরিব ছেলেমেয়েদের বইপত্র কিনে দিই। মহিলাদের জন্য সমুদ্রতটে অস্থায়ী শৌচাগার করে দিয়েছি।'‌

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজির নির্দেশে জেলাশাসক রত্নাকর রাও মেলা উপলক্ষে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। নজরদারিতে থাকবে ১২টা ড্রোন। জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে ভেসেলের গতিপ্রকৃতি জানা যাবে। নোংরা আবর্জনা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলতে ৪০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭০০টি সিসি টিভি থাকছে। এছাড়া থাকছে এলইডি টিভি। মেগা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২২০ কিলোমিটার জুড়ে মেটালিক ব্যারিকেড করা হয়েছে। অস্থায়ী ঘরে লাগানো হচ্ছে অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক। বাস, জলযানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১২টি স্যাটেলাইট মোবাইল থাকছে। সাগরমেলা এবং বাবুঘাটে পুণ্যার্থীদের ছবি সরাসরি নবান্নে বসেই দেখা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী, সাধুরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। বেণুবনে দ্বিতীয় জেটি করা হয়েছে। কপিলমুনির আশ্রম সাজানো হয়েছে। এই মেলা পরিচালনায় থাকা অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন শ্যামলকুমার মণ্ডল, মৃণাল রাণু, নিখিলেশ মণ্ডল, স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগর চক্রবর্তী। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকরা মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। চিকিৎসকের পাশাপাশি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পোর্টেবল আলো প্রচুর পরিমাণে রাখা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের চাকরি ছেড়ে সাধু হয়ে গেছেন ড.‌ স্বামী আত্মানন্দ। সাগরে বসবাস করছেন। দীনবন্ধু রায়ও সন্ন্যাসী হয়ে  সংসার ছেড়ে রয়েছেন সাগরপাড়ে।