মদ মেশানো ফলের রস খাইয়ে বেহুঁশ ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ! প্রতারণা সিনিয়র ছাত্রের


মদ মেশানো ফলের রস খাইয়ে জোর করে সহবাসের অভিযোগ উঠল ছাত্রের বিরুদ্ধে। প্রথম বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণের পর তাঁর বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল সিনিয়র ছাত্র। তারপর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তা গড়াল আইনি পথে। ছাত্রীর অভিযোগের পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খাস কলকাতার বুকেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর অভিযোগ, কলেজের ফেস্টে অন্য এক মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রীর পরিচয় হয়। তার বাড়ি রাজস্থানে। কলকাতায় হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করল। পরে সে ছাত্রীটিকে অন্য একটি কলেজের ফেস্টে আমন্ত্রণ জানায়। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয় গাঢ় হতে শুরু করে।

মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান। নিত্যদিন ফোন। পরিচয় রূপ নেয় ভালো লাগায়, তা থেকে প্রেমও। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর কাছে থেকে ৩৪ হাজার টাকাও নেয় ওই ছাত্র। পুজোর সময় পার্ক স্ট্রিটের এক হোটেল তাঁকে নিয়ে গিয়ে ফলের রস অফার করে। খাওয়ার পর তরুণী বুঝতে পারেন, ফলের রসের সঙ্গে মদ মেশানো রয়েছে।

এরপরই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর ওই ছাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি গিয়েছিল। কিছুদিন পরই ছাত্রীটি বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা। তাই বিয়ের চাপ দিতে শুরু করে ছাত্রটিকে। কিন্তু এরপরই বেঁকে বসে অভিযুক্ত। ছাত্রীটিকে গর্ভপাতের পরামর্শ দেয় ওই ছাত্র। পরে বিয়ে করবে বলে জানায়। সেইমতো গর্ভপাতও করান অভিয়োগকারিনী।

এইভাবে কিছুদিন চলার পর ছাত্রটি জানায় সে বিয়ে করতে পারবে না। মা-বাবা অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ের ঠিক করেছে। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী। বিয়ের মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তোলেন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাও দেয় সে। ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ছাত্রীটির মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি।