একসময় কাগজ কুড়োতেন, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচিত হলেন বিজেপি নেতা রাজেশ কালিয়া


সাধারণ কর্মী থেকে শিল্পপতি, ড্রপ আউট থেকে দুনিয়াখ্যাত কোম্পানির মালিক হয়েছেন অনেকেই। তবে রাজেশ কালিয়ার সাফল্য তাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। এমনকি চা বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নরেন্দ্র মোদীকেও তাঁর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচিত হলেন ৪৬ বছরের রাজেশ কালিয়া। এক সময় রাস্তায় রাস্তায় কাগজ কুড়োতেন। মোট ২৭টি ভোটের মধ্যে ১৬টি ভোট পেয়েছেন বিজেপির নেতা রাজেশ। একেবারে রাস্তা থেকে উঠে আসা যাকে বলে সেটাই করে দেখালেন রাজেশ।

বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষ রাজেশ। বাবা কুন্দন লাল কালিয়া ছিলেন ঝাড়ুদার। ভাই এখনও ঝাড়ুদার হিসেবেই কাজ করেন। এহেন কাজেশ কালিয়া তাঁর ফেলে আসা দিনের কথা স্মরণ করলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ফিরে রাস্তায় রাস্তায় কাগজ কুড়োতেন। ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে আবর্জনার স্তূপ থেকেও কাজ সংগ্রহ করতেন। পরিবারের অভাব দূর করার জন্য বহুদিন এটাই করে গিয়েছেন রাজেশ।

আদতে হরিয়ানার সোনিপতের মানুষ রাজেশ চণ্ডীগড় চলে আসেন ১৯৭৭ সালে। তার পর থেকেই বাস্তব জীবনের সঙ্গে লড়াই শুরু। শহরে আসার পর থেকেই কাগজ কুড়োতে শুরু করেন।

জি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাজেশ বলেন, জীবনে এই জায়গায় যেতে পারবেন তা কখনও ভাবতে পারেননি। তবে যুবক বয়স থেকেই রাজনীতিতে ঝোঁক ছিল। সেই ঝোঁক থেকেই ১৯৮৪ সালে আরএসএস ও বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি যা তা করেছে বিজেপি। স্বীকার করতে কোনও কুন্ঠা নেই রাজেশের। তিনি বলেন, বিজেপিই একমাত্র দল যে একজন চা বিক্রেতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে পারে। একজন কাগজ কুড়ানিকে মেয়র করতে পারে।

রাম মন্দির আন্দোলেন যোগ দিয়ে একবার ১৫ দিন জেলও খেটেছেন রাজেশ। বিজেপির তপসিলি মোর্চার সভাপতি ছিল বহুদিন। তবে ২০১১ সালে তিনি প্রথম পুরসভার নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু হেরে যান। ২০১৬ সালে ফের লড়াইয়ে নামেন ও জয়লাভ করেন।