মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন প্রেমিক–প্রেমিকা


কেউ কেউ মনে করেন মরার পর হয়ত ভালোবাসার মূল্য বুঝতে পারবে সকলে। এই ভাবনা থেকেই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন এক প্রেমিক যুগল। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তাঁরা। আর এই ঘটনাতেই মন গলেছে দুই পরিবারের। হাসপাতালেই প্রেমিক–প্রেমিকাকে মেলাতে বিয়ের আসর বসানো হল।

তেলঙ্গনার ভিকারাবাদের বাসিন্দা ২০ বছরের রেশমির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর থেকে চার বছরের বড় নওয়াজের। দু'‌জনেই তাঁরা দূর সম্পর্কের ভাই–বোন। রেশমি অনেক আগে থেকেই জানতেন যে তাঁর পরিবার এই সম্পর্কে মান্যতা দেবে না। বিয়েও দিতে চাইবে না। মঙ্গলবার রেশমি জানতে পারেন যে তাঁর পরিবার অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করেছে তাঁর। নওয়াজকে ছাড়া তাঁর জীবন ভাবতেই পারে না রেশমি।

অগত্যা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। নওয়াজ প্রেমিকার আশঙ্কাজনক অবস্থা শুনে দ্রুত হাসপাতালে আসেন। রেশমি বাঁচবেনা ভেবে নওয়াজও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুই পরিবারের আর তখন কিছু করার থাকে না। দু'‌জনের ভালোবাসার কাছে অবশেষে হার মানতে বাধ্য হয় পরিবার। হাসপাতালেই ইসলামিক বিয়ের আয়োজন করা হয়। শরীরে আইভি টিউব সহ স্যালাইন নিয়েই পাত্র–পাত্রী বিয়ের আসরে বসেন।

হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয় বরকে। শরীরে যে ব্যাথা রয়েছে তা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে নওয়াজের। অন্যদিকে রেশমার পরনে নববধূর পোশাকের বদলে হাসপাতালের পোশাক ছিল। দু'‌পক্ষের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিয়েতে যোগ দিতে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালেই নিকাহ হয় দু'‌জনের। যদিও বিয়ের পর স্বামী–স্ত্রী এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে।