গড়িয়ায় বধূর মৃত্যুতে স্বামীর পুলিশি হেফাজত

রোমিতা ভট্টাচার্য।

'মাকে ও রকম করতে বারণ করা উচিত ছিল'— গড়িয়ার শ্রীরামপুরে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত স্বামীর এখন এটাই উপলব্ধি। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুক্রবার রাতে ধৃত স্বামী শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বারবার পুলিশকে বলেছেন, ''এ রকম কিছু যে ঘটে যেতে পারে, সেটা বুঝতে পারিনি। মাকে অনেক আগেই ওর সঙ্গে ও রকম করতে বারণ করা উচিত ছিল। এত যে সমস্যা হচ্ছে, সে কথা ও আমাকে বলেনি।''

এই উপলব্ধি অন্তত এ দিন কাজে লাগেনি শুভ্রজ্যোতির। বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় ধৃত শুভ্রজ্যোতিকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মৃত্যুর পিছনে তাঁর বাড়ির সদস্যদের কী ভূমিকা আছে, তা জানার চেষ্টা করছে।

শুক্রবার সকালে গড়িয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রোমিতা ভট্টাচার্যের মৃতদেহ। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে এখনও ময়না-তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। এর মধ্যেই মৃতার পরিজনেরা রোমিতাকে নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন পাটুলি থানায়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন রোমিতার স্বামী শুভ্রজ্যোতি। জানা যায়, রোমিতার সঙ্গে ২০১৭-র জুলাইয়ে বিয়ে হয় তাঁর। তার পর থেকেই নানা কারণে রোমিতার উপরে তাঁর শাশুড়ি নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ রোমিতার পরিজনেদের।
তবে পুলিশ রোমিতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের দাবি, শুভ্রজ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষাও করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ দিকে এ দিনই ময়না-তদন্তের পরে রোমিতার মৃতদেহ তাঁর পরিজনেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মৃতদেহ নিতে গেলেও তাঁদের চলে যেতে বলেন আত্মীয়েরা। রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রোমিতার দিদি রিনিতা এ দিন বলেন, ''যে যাওয়ার,  সে চলে গিয়েছে ঠিকই। এখন দোষীদের কড়া শাস্তি চাই।''