কেন ৩৬টি রাফালে বিমান কিনছে সরকার! কংগ্রেসকে ঠুকে রাহুলকে তুলোধোনা করে জবাব প্রতিরক্ষামন্ত্রীর


রাফালে যুদ্ধবিমান নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাব সংসদে দাঁড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। একইসঙ্গে জোর আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। জানালেন, কেন ৩৬টি রাফালে বিমান কিনছে সরকার। যে প্রশ্নে বিরোধীরা কেন্দ্রকে বারবার আক্রমণ করে এসেছে। তা নিয়েও এদিন খোলাখুলি মত জানিয়েছেন নির্মলা। কংগ্রেস যে জোর করে রাজনৈতিক স্বার্থে রাফালে ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলছে, সেটাই দাবি করেছেন তিনি।

নির্মলা জানিয়েছেন, সময়ে অস্ত্র কেনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা খাতে চুক্তি করা ও প্রতিরক্ষায় যুক্তি সাজানো এক কথা নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন নির্মলা। জাতীয় সুরক্ষাকেই সর্বাগ্রে রাখার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

নির্মলা বলেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকার ১৮টি বিমানও কিনে আনতে পারেনি। আজ এতদিন পরে হঠাৎ রাফালে নিয়ে সরগরম করছে চারিদিক, সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

কেন্দ্রের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুই সরকারের মধ্য়ে চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বিমান ডেলিভারি দেবে। শেষ বিমান ডেলিভারি দেওয়া হবে ২০২২ সালে। সময় পাঁচমাস এগিয়ে এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী হ্যালকে চুক্তিতে শামিল না করে অনিল আম্বানির সংস্থাকে কন্ট্রাক্ট দেওয়ায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, হ্যাল এর জন্য কুমীরাশ্রু ফেলছে কংগ্রেস। তাদের জন্য আদতে কিছুই করেনি। বদলে কেন্দ্র সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার কন্ট্রাক্ট দিয়েছে।

কেন ৩৬ টি বিমান কেনা হচ্ছে সেই সম্পর্কে নির্মলা বলেছেন, এমার্জেন্সি সময়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিছু কিনতে হলে সবসময় দুই স্কোয়াড্রনই কেনা হয়। ১৯৮২ সালে ভারত সরকার ২ স্কোয়াড্রন মিগ-২৩ বিমান কেনে সোভিয়েন ইউনিয়নের কাছ থেকে। ৮৫ সালে ২ স্কোয়াড্রন মিরেজ ২০০০ কেনা হয় ফ্রান্সের কাছ থেকে। ৮৭ সালে মিগ -২৯ কেনা হয় দুই স্কোয়াড্রন। ফলে এই কেনায় কোনও অন্যায় নেই।