মাঝরাতে ভয়াবহ আগুন গড়িয়াহাট মার্কেটে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

গড়িয়াহাট মোড়ে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা। শনিবার গভীর রাতে।

শনিবার গভীর রাতে যখন এলাকা ঘুমে আচ্ছন্ন, সে সময়েই ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটল গড়িয়াহাট মার্কেটে। খবর পেয়ে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পৌঁছেছেন দমকল কর্তাও। শনিবার গভীর রাতের সেই আগুন রবিবার সকাল পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি দমকলের পক্ষে।
দমকল সূত্রের খবর,  গড়িয়াহাট মোড়ে শনিবার গভীর রাতে একটি ছ'তলা বহুতলে আগুন লাগে। ওই বাড়িতে রয়েছে নামী পোশাকের বিপণি-সহ বেশ কিছু দোকান ও আবাসিক ফ্ল্যাট। তাতে থাকেন জনা ৪৫। আগুন লাগে রাত ১টার পরে। আবাসিকদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে দমকল। সেই পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল।

দমকল কর্মীরা জানাচ্ছেন, আগুন লাগার পরে বাকি সব বাসিন্দা নেমে এলেও পা ভাঙা থাকায় এক মহিলা আটকে পড়েন। তাঁরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেছেন। তবে এখনও আগুনের উৎস স্থলে পৌঁছতে পারেনি দমকল।

ঘটনাস্থলে চলে আসেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। গভীর রাত পর্যন্ত খবর, দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এখনও আগুন লাগার সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। ফলে ভিতরে প্রবেশ করে উৎসস্থলে পৌঁছতে আরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে দমকলকে। বেশ কয়েকটি দোকানের শাটার কেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।

দমকল কর্মীরা জানাচ্ছেন, বাগরির মতো এ ক্ষেত্রেও পকেট ফায়ার হচ্ছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন পাশের কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এলাকাবাসীরাও আতঙ্কিত। আগুনের কারণে গড়িয়াহাট মোড়ের রাস্তার একাংশ বন্ধ রেখেছে পুলিশ।