‌ত্রিপুরা পুলিসের রোষানলে বিক্ষোভকারীদের অ্যাম্বুল্যান্স


পুলিসের গুলিতে জখম দুই বিক্ষোভকারীকে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সও রক্ষা পেল না ত্রিপুরার পুলিসকর্মীদের হাত থেকে। নাগরিক সংশোধনী বিল–২০১৬–র বিরোধিতায় গত আট তারিখ ত্রিপুরার খুমুলং–এ  বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসী ছাত্র সংগঠন 'নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস্‌ অর্গানাইজেশন'‌। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় পুলিসের। অভিযোগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালায়। জখম হন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটিকে প্রথমে বাধা দেয় পুলিস। তারপর লাঠি নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালায়। সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের উইন্ডস্ক্রিন, জানলার কাচ ভাঙছেন পুলিসকর্মীরা।

চালক কোনওক্রমে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে গেলেও ভিতরে গুলিবিদ্ধ, সন্ত্রস্ত বিক্ষোভকারীরা পুলিসকর্মীদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছেন। 
পুরো ঘটনা অস্বীকার করে ত্রিপুরা পুলিসের এডিজি রাজীব সিং ফোনে জানিয়েছেন, '‌আমি ভিডিওটা দেখিনি তাই ফুটেজ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। আমি শুধু এটুকু জানি, পুলিসকর্মীরাই জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আমরা কখনও অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করি না।'

বিরোধী সহ এনডিএ শরিক আইএনপিটি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পদত্যাগ এবং হাই কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। জখমদের জন্য সরকারি চাকরি এবং পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু চ্যাটার্জি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন আদিবাসী ছাত্ররাই বিক্ষোভ করেছিল, যাদের মানুষের কাছে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। বামেদের সঙ্গে মিলেই তারা এই কাজ করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নবেন্দু।